×

Error

The template for this display is not available. Please contact a Site administrator.

"ব্লাড-ম্যান"

প্রত্যেক দেশেই কিছু সুপার হিরো থাকে; সুপার-ম্যান, স্পাইডার-ম্যান, ব্যাট-ম্যান, আইরন-ম্যান, ইনভিজিবল-ম্যান, প্লাস্টিক-ম্যান... এরকম হাজারো সুপার হিরো... যাদের দেখে বা যাদের গল্প পড়ে সেই দেশের পিচ্চিরা ইন্সপায়ারড হয়...

আমাদের দেশেও কিন্তু এরকম একটা সুপার হিরো আছে; "ব্লাড-ম্যান" :)

নিজের মূল্যবান সময়, যাতায়াতের কষ্ট, যাতায়াত খরচ, মোবাইলের খরচ, সূচ ফোটানোর ব্যাথা, নিজের শরীরের মহামূল্যবান ১ ব্যাগ রক্তদান এবং সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করে একজন "ব্লাড-ম্যান" রক্তদান করেন একজন মুমূর্ষু রোগীকে... বিনিময়ে কিছু পাবার আশায় নয়, সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে। :)

সকল "ব্লাড-ম্যান"দের স্যালুট...

(ব্লাড-ম্যান বলতে শুধুমাত্র পুরুষ রক্তদাতাদের বোঝানো হয়নি, রক্তদাতা-স্বত্বা কে বোঝানো হয়েছে)

Facebook Link

 

(Click on the image for larger view)

 

 

"প্রস্তুত যদি থাকে দুইজন রক্তদাতা, থাকবে গর্ভবতী মায়ের প্রাণের নিশ্চয়তা"... (সর্বোচ্চ শেয়ার চাইছি...)

By sHuvo WhtЄvR

(সর্বোচ্চ শেয়ার চাইছি...)

"প্রস্তুত যদি থাকে দুইজন রক্তদাতা,
থাকবে গর্ভবতী মায়ের প্রাণের নিশ্চয়তা"

শতকরা ৭০ ভাগ গর্ভবতী মায়ের সন্তান জন্মদানের সময় রক্তের প্রয়োজন হয়... এবং অনেক গর্ভবতী প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে মারা যায়...
তাই মনে করে আগে থেকেই ২ জন রক্তদাতা খুজে রাখুন... বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত রক্তদাতাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে বলুন যেন গর্ভবতীর যেকোনো শারীরিক জটিলতায় উনারাই প্রথম এগিয়ে আসতে পারে...

আমরা www.DonateBloodBD.com , রক্ত দিন, জীবন বাঁচান এবং Call For Blood পেইজের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছি... আমাদের সকল ভলান্টিয়ার, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সমাজ সেবক সবাই একসাথে কাজে নামি আসুন...রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আপনাদের সাহায্য পাবো আশা করি :)

সারা বাংলাদেশ জুড়ে একসাথে সচেতনতা সৃষ্টি হোক... ৬৪ জেলার আনাচে কানাচে... গর্ভবতী রোগীর জন্য আগে থেকেই রক্তদাতা খুঁজে রাখুন - এই সচেতনতা গড়ে তুলি সারা বাংলাদেশে...

কি করতে হবে সকল ভলান্টিয়ার, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সমাজ সেবকদের?
-------------
অনলাইনেঃ
সর্বোচ্চ শেয়ার করুন এই ছবিটি যেন এই ছবিটি দেখে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়... এই ছবিটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিন... এই পোস্ট শেয়ার করে, কিংবা ছবিটি আপনার প্রোফাইল থেকে আপলোড করে কিংবা বিভিন্ন পেইজে পোস্ট করে... যেভাবে যেভাবে সম্ভব, সবভাবে ছড়িয়ে দিন...
-------------
অফলাইনেঃ
১) এই ছবিটি A4 কাগজে প্রিন্ট করুন... আপনার সাধ্যমত যত কপি সম্ভব ফটোকপি করুন... (সবার সুবিধার্থে ছবিটি সাদাকালো করা হয়েছে)
২) নিচের বিভিন্ন জায়গার দেয়ালে ছবি লাগিয়ে দিনঃ
- বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গেইটে
- প্যাথলজি বিভাগের সামনে
- বিভিন্ন ডাক্তার (বিশেষ করে গাইনী ডাক্তার) -দের চেম্বারের নোটিস বোর্ডে
৩) ফার্মেসীর ভেতরে নোটিশে বা বাইরের দেয়ালে লাগানোর ব্যবস্থা করুন...
৪) ডাক্তারদের অনুরোধ করুন যেন উনারা গর্ভবতী মায়েদের আগে থেকে জানিয়ে দেন রক্তদাতা খুঁজে রাখার জন্য...

সচেতনতা তৈরি হলে বাংলাদেশে আর কোনো গর্ভবতী মা রক্তের অভাবে মারা যাবেন না ইনশাআল্লাহ...

------------------
ছবি প্রিন্ট করতে হলে প্রথম কমেন্টে ভাল কোয়ালিটি ছবির লিঙ্ক দিয়েছি... ওখান থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে এবং ফটোকপি করে ছড়িয়ে দিন আপনার এলাকায়...

 

(ছবিটি বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন...)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

"বরের অবশ্যই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে... আর কনের হতে হবে ফর্সা, লম্বা আর শিক্ষিত... "???

"বরের অবশ্যই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে... আর কনের হতে হবে ফর্সা, লম্বা আর শিক্ষিত... "

বাবা মা তাঁদের ছেলে/মেয়েদের বিয়ের জন্য এমন পাত্র-পাত্রী খোঁজেন... কিন্তু সেই পাত্র বা পাত্রীটি মানুষ হিসাবে কেমন সেটা গৌণ বিষয়... এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন  খুব সহজে যাচাই করারও উপায় নাই...

বর/কনে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন মাপকাঠি যুক্ত করা উচিত... "ছেলে/মেয়ে কি নিয়মিত রক্তদান করে?" :D

যদি বর/কনে নিয়মিত রক্তদান করে, তাহলে একাধারে অনেক কিছুই জানা হয়ে যাচ্ছে হবু বর বা কনের বিষয়ে...

এতে জানা যাচ্ছে, মানুষটিঃ

১) পরোপকারী (অপরিচিত মানুষদের যিনি রক্তদান করে উপকার করছেন, তিনি অবশ্যই উনার স্বামী/স্ত্রী এর প্রতিও পরোপকারী হবেন)

২) দায়িত্ব এড়িয়ে যায় না অর্থাৎ দায়িত্ববান (নিয়মিত রক্তদান আমাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত... এই দায়িত্ব যিনি নিয়মিত পালন করতে পারছেন, সুতরাং নিজের স্বামী/স্ত্রী প্রতিও দায়িত্বশীল হবেন আশা করা যায়)

৩) নির্ভরযোগ্য (কথা দিয়ে কথা রাখার মানুষ তিনি... রোগীকে রক্তদান করার কথা দিয়ে কথা পালন করছেন... এই মানুষটি অবশ্যই নির্ভরযোগ্য)

৪) আত্মত্যাগী এবং উদার (নিজের মূল্যবান সময়, যাতায়াতের কষ্ট, যাতায়াত খরচ, মোবাইলের খরচ, সূচ ফোটানোর ব্যাথা, নিজের শরীরের মহামূল্যবান রক্ত দান করা সহজ ব্যাপার না... একজন সত্যিকারের আত্মত্যাগী এবং উদার মানুষের পক্ষেই সম্ভব)

৫) সময়নিষ্ট (রোগীর প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যথাসময়ে রক্তদানে উপস্থিত থাকা)

৬) ধৈর্যশীল ও সহিঞ্চুতার অধিকারী (হাজারো ঝামেলা উপেক্ষা করে ধৈর্যের সাথে নিয়মিত রক্তদান করা...)

৭) সহানুভূতিশীল (রোগী তথা মানুষের কষ্ট অনুভব করার ক্ষমতা এদের রয়েছে)

৮) সুনাগরিক (রক্তদানের মাধ্যমে সমাজ এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে, সুতরাং তিনি একজন সুনাগরিক)

বাহ, মানুষটি নিয়মিত রক্তদান করছেন কিনা এটা জানার মাধ্যমেই তো মানুষটির সকল মানবিক গুন জানা হয়ে যাচ্ছে :D
-----
পাশাপাশি নিশ্চয়তা রয়েছেঃ
৯) মাদকাসক্ত নয় (মাদকাসক্ত ব্যাক্তি হতে রক্ত গ্রহন করা হয় না...সুতরাং নিয়মিত রক্তদাতা মাদকাসক্ত নন... মাদক বিহীন নির্ভেজাল স্বামী/স্ত্রী পাবেন :D )

১০) শারীরিক সুস্থতা (রক্তদানের পূর্বে রক্তদাতার রক্তের ৫ ধরনের পরীক্ষা করা হয়ঃ এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও সি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া... নিয়মিত রক্তদাতা এসব রোগ হতে মুক্ত...)
------

ভবিষ্যতের শশুর/শাশুরী/বর/কনে,
এখন থেকে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার না খুঁজে "একজন নিয়মিত রক্তদাতা" খুজুন... বিয়ের বর/কনে খোঁজার নতুন ক্রাইটেরিয়া হিসাবে যুক্ত করুন 'রক্তদান' :)

---------------
আইডিয়াটা কিছুটা হাস্যকর হয়তো :P কিন্তু এই ক্রাইটেরিয়া যুক্ত করতে পারলে রক্তদানের জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে :P

Facebook Link

'ব্লাডফি'

'সেলফি' - স্মার্টফোন হাতে নিয়ে নিজেই নিজের ছবি তোলা হল 'সেলফি'...  সেলফির বন্যায় ভেসে যায় ফেসবুক...  এ যুগের জনপ্রিয় এক ধারা... মজার ব্যাপার হল, এই শব্দটি এ বছর অক্সফোর্ড অভিধানের বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে... :)

সেলফি তো অনেক তুললাম, এবার না হয় 'ব্লাডফি' তোলা শুরু হোক :)

একজন রক্তদাতা বেশির ভাগ সময়ই একা একাই চলে যান রক্তদানে... এক হাতে সুচ ফুটিয়ে হাসপাতালে বেডে শুয়ে থাকে... কিন্তু আরেক হাত অলস হয়ে ফেলে না রেখে রক্তদানের এই সুন্দর স্মৃতি ধরে রাখুন আপনার মোবাইলে  :D অন্য হাত দিয়ে মোবাইলটাক কায়দা করে ধরে তুলে ফেলুন রক্তদানের সেলফি, মানে 'ব্লাডফি':D

এরপর যদি ইচ্ছা করে ফেইসবুকে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে... 'ব্লাডফি' দেখে আপনার বন্ধুও হয়তো রক্তদানে এগিয়ে আসবে নিজের একটি 'ব্লাডফি' স্মৃতি ধরে রাখার জন্য :D

একসময় আমরা বৃদ্ধ হবো, কিন্তু এই 'ব্লাডফি' আমাদের নিয়ে যাবে রক্তদানের পুরনো সেই মধুর স্মৃতিতে :)
----
শুরু হোক তবে 'ব্লাডফি' এর যুগ...
আমি বিনীত রিকুয়েস্ট করবো, আপনার 'ব্লাডফি'তে আমাকে ট্যাগ করতে ভুলবেন না :)

Facebook Link

কিছু কিছু পাগলামি ভাল লাগে... :)

কিছু কিছু পাগলামি ভাল লাগে...

অপরিচিত একজন আমাকে রাত ১০ টার দিকে ইনবক্সে নক করে জানালো যে রাত ১২টার পর (৮ তারিখ) তাঁর ১৮ তম জন্মদিন... এই ১৮ তম জন্মদিন রক্তদানের মাধ্যমে উদযাপন করতে চায়... কিন্তু সে তাঁর রক্তের গ্রুপ জানে না...

আমি বললাম, আগে আপনার রক্তের গ্রুপ জেনে নিন, তারপর রোগী খুজতে হবে... আপনার এলাকার যেকোনো হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে রক্তের গ্রুপ জেনে নিতে পারবেন....

রাত সাড়ে ১০টা দিকে সে একা একা বের হয়ে গেলো হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খোঁজে ... ঠিক সাড়ে ১১ টার দিকে আমাকে জানালো তাঁর রক্তের গ্রুপ "ও পজেটিভ"... :)

আমি সাথে সাথে রোগী খুঁজে দিলাম... সকালে নাকি তাঁর পরীক্ষাও আছে... পরীক্ষা শেষ করেই রক্তদানে চলে যাবে...  :)

এমন পাগলামিগুলো ছড়িয়ে যাক :)

Facebook Link

অন্যকে দুর্নীতি করার সুযোগ  দিবেন না, অনলাইনে রক্তদানের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন...

আমি খুব ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ... মাথা গরম হয় না বলতে গেলে... কিন্তু একটা বিষয় আমি কখনোই সহ্য করতে পারি না...

রক্তের পোষ্টে 'কখনোই এবং কখনোই' রোগীর আত্মীয় যিনি রোগীর পাশে আছেন তাঁর নম্বর ছাড়া অন্য কারো নম্বর দেয়া উচিত না... এটা রক্ত নিয়ে কাজ করার জন্য প্রথম এবং প্রধান নিয়ম... এর পেছনে হাজারটা কারন হয়েছে... প্রধান দুটি কারন হচ্ছেঃ
১) এতে স্বচ্ছতা থাকে না... রক্ত নিয়ে আপনি দুর্নীতি করছেন কিনা জানা যায় না...
২) রক্ত পাওয়া গেল কিনা এর সঠিক এবং সর্বশেষ আপডেট জানা সম্ভব হয় না... কারন যার নম্বর দেয়া সে নিজেও সর্বশেষ আপডেট জানেন না... এবং প্রচন্ড ঝামেলা সৃষ্টি হয়...

এমন ভলান্টিয়ার আমি অনেক পেয়েছি যারা রক্তের পোষ্টে রোগীর আত্মীয়ের নম্বরে পরিবর্তে নিজের নম্বর দিয়ে রাখে... এদের আমি আগাছা ছাড়া আর কিছু বলবো না... অনলাইনে রক্তের কাজকে কুলশিত করছে ওরা... এতে সুযোগসন্ধানী বাটপারেরাও রক্ত নিয়ে দুর্নীতি করার সুযোগ পাচ্ছে...

এমন ভলান্টিয়ারদের আমি আমার রক্তদানের পেইজ থেকে এবং আমার প্রোফাইল থেকে ব্লক করি, আমার ওয়েবসাইট থেকে ডিলিট করি... অনলাইনে রক্তদানের এই প্লাটফর্ম একদিনে তৈরি হয়নি... দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই প্লাটফর্ম...

অন্যকে দুর্নীতি করার সুযোগ  দিবেন না, অনলাইনে রক্তদানের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন... Over n Out...

Facebook Link

ঈদ মোবারক...

সবাইকে ঈদ মোবারক... 'গরুর আকার' থেকে 'ত্যাগের আকার'টা যেন বড় হয় এই কামনা করছি... আশা করি কালকে আমাদের দেশের একজন মানুষও অভুক্ত থাকবে না :)

যাইহোক, আগেই বলেছি, ঈদের সময় জরুরী রক্তের প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে... রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কে এবং অজানা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে রক্তের অভাবে... তাই কালকের এই পবিত্র দিনে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে যারা রক্তদান করতে ইচ্ছুক, আমাকে জানিয়ে দিন... আপনার এলাকায় রক্তের প্রয়োজনে আমি আপনাকে জানাবো... রক্তদানের আত্মত্যাগ এই 'ত্যাগের ঈদ' এর সাথে যুক্ত হোক :)

হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link

দুই ইমতিয়াজকে একসাথে দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি... মধুর অপেক্ষা...

৩ দিন বয়সের এক বাচ্চার জন্ডিস হয়েছিল... শরীরের সব রক্ত পরিবর্তন করতে হবে... দুর্লভ "ও নেগেটিভ" রক্তের প্রয়োজন ছিল... Emtiaz রক্তদান করে এলো এই শিশুকে... :)
রক্তদানের এই ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ১৫ দিন আগের...

শিশুটির শরীরে বইছে শুধুমাত্র ইমতিয়াজের রক্ত...  ইমতিয়াজের রক্তে বেঁচে আছে শিশুটি :)

এখন আজকের কথা বলি :)

এই বাচ্চার মামা আজ ইমতিয়াজকে কল দিয়ে একটি খবর জানালেন... খবরটি একজন রক্তদাতাকে আবেগাপ্লুত করে দেবার জন্য যথেষ্ঠ, এবং খবরটি শুনে আমিও আবেগাপ্লুত হয়েছি :)

খবরটি হলঃ
***
যার রক্তে এই শিশুটি মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছে, যার রক্ত এই শিশুটির শরীরে বইছে সেই রক্তদাতা ইমতিয়াজের নামে বাচ্চাটির নামকরন করা হয়েছে "ইমতিয়াজ" :)
***

দুই ইমতিয়াজকে একসাথে দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি... মধুর অপেক্ষা...

Facebook Link

আসুন, রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা আমরা বুঝতে শিখি মুমূর্ষু রোগীর অসহায়ত্ব অনুভবের মাধ্যমে...

- "রক্তদান? আমাকে দিয়ে হবে না... রক্ত আর সুচ - দেখলেই ভয় লাগে... তাছাড়া রক্তদান নিরাপদ না"
- "রক্তদান করলে দুর্বল হয়ে যাবো... "
- "সারাদিন অনেক ব্যস্ত আছি, ভাই... রক্ত দানের সময় কই?"
- "আমি একজন রক্তদান করলেই কি বা না করলেই কি? কি এমন তফাৎ হচ্ছে?"
- "আমি হাজার হাজার টাকা দান করি গরীব মানুষদের... রক্তদান করতে হবে এমন কোনো কথা নাই"

অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়তো সহজ... কিন্তু দায়বদ্ধটা এড়ানো যায় না... :)

একজন রোগী একবার বলেছিলেন "You don't know how important donating blood is until you're sick." ...আমি চাই তার কথা ভুল প্রমানিত হোক... আসুন, রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা আমরা বুঝতে শিখি মুমূর্ষু রোগীর অসহায়ত্ব অনুভবের মাধ্যমে...

Facebook Link

সকল রক্তযোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গ করলাম...

সকল রক্তযোদ্ধাদের জন্য উৎসর্গ করলাম...
----------------------

কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু স্ট্যাটাস দিলো "এই ফেইসবুক যে আমাদের কত সময় নষ্ট করল !!!... "

ওর স্ট্যাটাসটা দেখে আমি কমেন্ট করলাম "so use facebook for a cause... ফেইসবুকে রক্তের আবেদনগুলো শেয়ার করিস :) "
তবে এরপরেও ওর মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করিনি... :)
----
অমুক ফেইসবুকের একটা গেইমের রিকুয়েস্ট পাঠালো... গেইমের নোটিফিকেশন আমি বন্ধ করি না...  এর পেছনের কারন আছে... আমরা মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা খুঁজছি, আর তখন সেই 'অমুক' গেইম খেলছে... নিজের মধ্যে একটা সান্ত্বনা খুজে পাই, 'নাহ, আমি তো সময় নষ্ট করছি না...' :)
একজন রক্তযোদ্ধা রক্ত খুজতে খুজতেই বুঝে না সময় কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে, ফেইসবুক গেইমের প্রতি সময় দেয়াটা আমাদের জন্য বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু না...

এখন সবার মনে একটা ধারনা জন্মেছে বলে আমি বিশ্বাস করি, "ফেইসবুকে রক্তের পোস্ট দিলেই রক্ত পাওয়া যায়...", হ্যা গর্ব করেই বলি এই বিশ্বাস আমরা রক্তযোদ্ধারা স্থাপন করতে পেরেছি... গরীব অশিক্ষিত রোগীও এখন বলে "ভাই, ফেইসবুকে দিয়া দেন...রক্ত পামু"... এই বিশ্বাস আমরা রক্তযোদ্ধারা তৈরি করেছি... আমরাই...

কিন্তু "ফেইসবুকে দিলেই রক্ত পামু" - এই বিশ্বাস স্থাপনের পেছনে রয়েছে হাজারো রক্তযোদ্ধার অবদান... যাদের প্রতিটি দিনের সব মিলিয়ে কমপক্ষে হলেও ৫ ঘন্টা সময় কাটে রক্তদাতা খুজে খুজে... এক ব্যাগ রক্ত বা একজন রক্তদাতা ম্যানেজ করতে কেমন সময় এবং কতটা পরিশ্রম ইনভল্ভড জানেন?

হ্যা, আমরাই এই রক্তযোদ্ধা... যারা দিনকে রাত, আবার রাতকে দিন করে, নিজের ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দিয়ে, পরিবারকে শতভাগ সময় না দিয়ে দিন রাত কাজ করি মুমূর্ষু রোগীর রক্ত খুজে দিতে... যাদের মোবাইলের ফোনবুকে পরিচিত মানুষের পাশে লেখা থাকে সে মানুষটির রক্তের গ্রুপও... হ্যা, রক্তদাতা খুজে নেয়ার সুবিধার্থে... নতুন নতুন টেকটিক নিয়ে চিন্তা করতে হয় কিভাবে আরো সহজে এবং কম সময়ে রক্তদাতা খুজে নেয়া যায়... কিভাবে আরো বেশি মুমূর্ষু রোগীকে সাহায্য করা যায়... হ্যা আমরাই...

ম্যানেজমেন্ট কি জিনিস বুঝতে হলে একজন রক্তযোদ্ধা থেকে বুঝে নিন... Human Resource Management (কখন কোন রক্তদাতাকে পাঠালে কোন রোগীর জন্য ভাল হবে), Marketing Management (রক্তদাতাকে রক্তদানে রাজি করানো), Managerial Finance (নিজের মোবাইল খরচ হিসাবে রেখে মেক্সিমাম কাজ করা), Operations Management (রক্তদাতা খুজে নেয়া থেকে রক্তদান শেষ হওয়া পর্যন্ত সব কিছু পর্যবেক্ষণে রাখা) - হ্যা এসব কিছুই একজন রক্তযোদ্ধাকেই করতে হবে...

সাথে রয়েছে অপরিসীম টেনশন, পরিশ্রম, এবং ধৈর্যশক্তি... এর মাঝে সব রোগীর জন্য রক্ত ম্যানেজ করে দিতে না পারলেও শুনতে হয় অনেক কটুবাক্য... নিজের অসুস্থতাও এখানে গৌণ বিষয়...

ফেইসবুকের অন্যান্য ইউজারদের মত এই রক্তযোদ্ধাদের হবার সুযোগ নাই... প্রতিটি পোষ্টের কমেন্ট চেক করতে হয়, প্রতিটি ইনবক্স ভাল করে পড়তে হয়, প্রতিটি ট্যাগ খেয়াল রাখতে হয়, প্রতিটি নোটিফিকেশন দেখে নিতে হয়... হ্যা, প্রতিটি, কারন সবগুলোতেই রয়েছে মানবতার আহবান... অবহেলা করার সুযোগ নেই... হ্যা, আমরাই সেই রক্তযোদ্ধা...

কাছে দূরে, দেশে বিদেশে, বিভিন্ন জেলায়, দেশের আনাচে কানাচের সকল রক্তযোদ্ধাদের আমি দাড়িয়ে স্যালুট জানাই... মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাই... এবং শপথ করি, জীবনের যেকোনো বাঁকে আমরা থাকবো একই পথে, মুমূর্ষু রোগীর রক্তের খোঁজে...

(আপনার পরিচিত সকল রক্তযোদ্ধাদের এই পোষ্টে ট্যাগ করার অনুরোধ করছি... )

Facebook Link

পরিচিত মানুষদের রক্তের গ্রুপ জেনে নিন...

আজ একটি অনুরোধ করবো সবাইকে...  :)
------

সবাই পরনির্ভরশীল হয়ে যাক - এজন্য তো আমরা রক্ত নিয়ে কাজ করছি না... সবাই স্বনির্ভর হয়ে উঠবে, নিজের পরিচিত মানুষদের রক্তের গ্রুপ জেনে নিবে, প্রয়োজনে নিজের পরিচিত মানুষ থেকেই রক্তদাতা খুঁজে নিতে পারবে, এবং রক্তদানের ভয় দূর করে নিজেই রক্তদানে এগিয়ে আসবে - এটাই তো টার্গেট...

রোগীর রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে, আমরা রক্তদাতা খুঁজে দিচ্ছি... এটা কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান না... সাময়িক সমাধান... স্থায়ী সমাধান হল রোগী নিজেরাই নিজের পরিচিত মানুষ থেকে রক্তদাতা খুঁজে নিবে এবং এর জন্য সচেতন করে তুলতে হবে আমাদেরই...
*** ফেইসবুক পর্যন্ত রক্তের রিকুয়েস্ট আসার আগেই রোগীরা নিজেরাই রক্তদাতা খুঁজে নিতে পারবে - এটাই কিন্তু আল্টিমেট টার্গেট :)

ফেইসবুককে আমরা রক্ত সংগ্রহের একটি বড় মাধ্যম হিসাবে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছি... নিজের ফেইসবুক ফ্রেন্ড থেকেই প্রচুর রক্তদাতা ম্যানেজ করা যায়... আপনিও আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে প্রচুর রক্তদাতা ম্যানেজ করতে পারবেন ইচ্ছা করলেই... মনে করুন, আপনার ফ্রেন্ড লিস্টের মধ্যে মাত্র ৩ জন রক্তদাতার তথ্য পেলেন... এই ৩ জন রক্তদাতা দিয়েই কিন্তু আপনি বছরে (৩X৪=) ১২ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করতে পারবেন... ১২ জন মুমুশু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন...
নিজের পরিচিত কারো রক্তের প্রয়োজনেও এই ৩ জন থেকেই হয়তো রক্তদাতা খুঁজে নিতে পারবেন... এটা কিন্তু অনেক বড় কিছু - চিন্তা করে দেখুন :)

আমার ফ্রেন্ড লিস্টের সবার কাছে আমার অনুরোধটি হলঃ সবাই নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট লিখবেন... ফ্রেন্ডদের রক্তের গ্রুপ, জেলা এবং শেষ রক্তদানের তারিখ জেনে নিবেন... প্রয়োজনে মোবাইল নম্বরও জেনে নিবেন... একটা ফাইলে লিখে রাখবেন, এবং পরবর্তীতে এই ফ্রেন্ড থেকেই মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা খুঁজে নিবেন :)
পোস্টটি অনেকটা এমন হতে পারেঃ

"
আমার ফেইসবুক বন্ধুদের কাছে একটি অনুরোধ...

যারা রক্তদানে ইচ্ছুক, আমাকে আপনার রক্তের গ্রুপ, জেলা, মোবাইল নম্বর এবং শেষ রক্তদানের তারিখ জানিয়ে দিন... প্রয়োজনে ইনবক্সে জানিয়ে দিতে পারেন... মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনে আমি আপনাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবো... রক্তদান করুন, মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন... হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)
#রক্তদাতার_সন্ধানে  #roktodatar_shondhane

"
(যেকোনো একটি হ্যাশ-ট্যাগ দিন, কারন এতে সহজেই বুঝা যাবে মানুষের কেমন রেসপন্স পাওয়া গেল...)

আশা করি প্রত্যেকে কম করে হলেও ৩ জন রক্তদাতা পাবেন... প্রত্যেকে এগিয়ে এলে কিন্তু রক্ত সংগ্রহ করা আরো অনেকটা সহজ হয়ে যাবে :)

দেখি কি হয় :)

Facebook Link

প্রতারকেরা সাবধান হয়ে যান :)

ফেইসবুকে রক্তের পোস্ট দেখে কিছু প্রতারক রোগীর নম্বরে কল করে বিকাশে টাকা চায়, এবং রোগীরা সরল বিশ্বাসে প্রতারনার স্বীকার হয়...

এমন বেশ কিছু প্রতারকের নম্বরও পেয়েছি... ডিরেক্ট র‍্যাবের কাছে চালান করে দিয়েছি নম্বরগুলো :D এবং আস্বস্থ করেছেন যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে...

প্রতারক বাছারা, তোমাদের মুখ দেখতে চাই :D এবং তোমাদেরকে উদাহরন হিসাবে উপস্থাপন করে অন্য প্রতারকদের প্রতারনার সাহস পেছনের দরজা দিয়ে পালাবে এটার নিশ্চয়তা ১০০%...

সাবধান হয়ে যান... :)

Facebook Link

একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে রক্তদাতাদের জানিয়ে রাখা উচিতঃ

একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে রক্তদাতাদের জানিয়ে রাখা উচিতঃ

***
হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্ত আবেদনকারী (মোবাইল নম্বরে যে ব্যাক্তির সাথে আপনি যোগাযোগ করছেন) এর সাথে দেখা করবেন না... হাসপাতালের পাশের গলি, কিংবা কোনও দোকানে দেখা করতে বললেও যাবেন না... রোগীর বাসায় হলেও না...
কেবিন/ওয়ার্ড নম্বর জেনে নিবেন, সরাসরি কেবিন/ওয়ার্ডে চলে যাবেন... রোগী দেখে নিবেন...
***

আপনার অসাবধানতার জন্য www.DonateBloodBD.com এবং রক্ত দিন, জীবন বাঁচান পেইজ কোনভাবে দায়ী থাকবে না...

Facebook Link

একজন মানুষের জীবনের কোনো এক পর্যায়ে কি তার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হতে পারে?

একজন মানুষের জীবনের কোনো এক পর্যায়ে কি তার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হতে পারে?

সাধারন উত্তরঃ
না... মানুষের রক্তের গ্রুপ কখনো পরিবর্তন হয় না... যদি আপনি মনে করেন যে আপনার রক্তের গ্রুপ আগে এক ছিল, আর এখন অন্য - তাহলে ধরে নিতে হবেঃ
১) পূর্বের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা ভুল ছিল...
২) আপনি হয়তো আপনার রক্তের গ্রুপ মনে করতে পারছেন না, ভুলে গেছেন... এবং ভুল বলছেন...

এই দুটি সম্ভাবনা রয়েছে... সেজন্য রক্তের গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় কমপক্ষে ৩ বার পরীক্ষা করে কনফার্ম হয়ে নেয়া উচিত... এবং সঠিক রক্তের গ্রুপ মনে রাখুন...
--  ---  ---

ব্যাতিক্রমঃ
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে কিছু ক্যানসার অথবা কিছু autoimmune ডিজেজে রক্তের গ্রুপ বদলে যেতে পারে... বোন মেরো ট্রান্সপ্লান্ট করার পর রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হতে পারে যদি রোগী এ/বি/এবি ব্লাড গ্রুপের এবং রক্তদাতা “ও” গ্রুপের হয়ে থাকে... অস্ট্রেলিয়া তে ১৯ বছরের এক মেয়ের রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয়ে যায় লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের পরে...
--  ---  ---

তবে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা একদম নাই বললেই চলে... পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা প্রতি ৬০০ কোটি মানুষের মধ্যে একজন... তাই রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয় না ধরে নেয়াই উত্তম...

আর আপনি যদি দাবি করেন আপনার রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয়েছে এবং উপযুক্ত প্রমান উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনাকে নিয়ে সারা পৃথিবীতে হৈচৈ হয়ে যাবার সম্ভাবনা ১০০ % ;) ... আপনাকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে, এবং তখন বিভিন্ন গবেষণাগার হবে আপনার স্থায়ী বাসস্থান :P

Facebook Link

ডায়াবেটিকের রোগী এবং হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী কি রক্তদান করতে পারবেন?

ডায়াবেটিকের রোগী এবং হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী কি রক্তদান করতে পারবেন?
----- ----- -----
ডায়াবেটিকের রোগী রক্তদান করতে পারবেন যদিঃ
- রক্তদানের সময় সুগার লেভেল নরমাল থাকে (সাধারনত সুগার লেভেল ৭ mmol/L নরমাল ধরা হয়)
- রক্তদাতা যদি ইনসুলিন গ্রহন করে না থাকেন
- রক্তদাতা যদি শারীরিকভাবে সুস্থ অনুভব করেন

তবে ডায়াবেটিক রোগীকে সবসময় সেকেন্ড অপশন হিসাবে রাখলে ভাল... অন্য কোনো রক্তদাতা যদি পাওয়া না যায় এবং খুব ইমারজেন্সি রক্তের প্রয়োজন হয় তবে ডায়াবেটিক রোগী থেকে রক্ত গ্রহন করা যাবে...
----- ----- -----
হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীর যদি রক্তদানের মুহূর্তে ব্লাড প্রেশার নরমাল থাকে (সাধারনত ১২০/৮০ কে নরমাল ধরা হয়), তাহলে রক্তদান করতে পারবেন...
----- ----- -----
নোটঃ রক্তদানের অন্যান্য যোগ্যতা যেমন ওজন, বয়স, শেষ রক্তদানের তারিখ, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদি যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে... উপস্থিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তদান করা যাবে...

যদিও যেকোনো বয়সে যেকোনো মানুষের ডায়াবেটিকস এবং হাই ব্লাড প্রেশার হতে পারে, তবে মধ্যবয়সীদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়... তাই জানিয়ে রাখা ভাল, একজন সুস্থ মানুষ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত রক্তদান করতে পারেন... :)

সবশেষে, হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link

ফেইসবুকে জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্বদের প্রতি অনুরোধ

আমাদের প্রিয় ফেইসবুকে এমন কিছু ব্যাক্তিত্ব আছেন যারা ফেইসবুকে খুব জনপ্রিয় তাদের লেখনীর মাধ্যমে... তাদের রয়েছে হাজার হাজার ফলোয়ার... তাঁদের কাছে একটি বিনীত অনুরোধ নিয়ে এসেছি আজ...
----
ফেইসবুকে হোম পেইজ ঘুরলে দেখি বিভিন্ন রোগীর জন্য রক্তের আবেদন... ছোট ছোট ভাই বোনরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর রক্তের খোঁজে... রক্তের পোস্ট মানে হচ্ছে, ৯০% মানুষ এটা পাশ কাটিয়ে চলে যাবে, কেউ কেউ বিরক্ত হবে; বাকি ১০% মানুষের চোখে পড়বে রক্তের আবেদন... এই ১০% মানুষ থেকেও সারা পাওয়া খুব কষ্টের... এক ব্যাগ রক্ত খুঁজে নিতে কতটা পরিশ্রম করতে হয় - সেটা আমরা যারা রক্ত নিয়ে কাজ করছি খুব ভাল করে জানি, বুঝি...

ফেইসবুকের জনপ্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের রয়েছে এক বিশাল বাহিনী, মানে ফলোয়ারস... মুমূর্ষু রোগীর রক্ত সংগ্রহে আপনারা নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই এগিয়ে এসেছেন হাজারো বার... কিন্তু এটাও জানি, প্রতিটি রক্তের আবেদন আপনার পক্ষে পোস্ট করা সম্ভব না... প্রতিদিনও পোস্ট করাও সম্ভব হয় না...

কিন্তু একটি সহজ উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই প্রতিদিন রক্ত সংগ্রহে সাহায্য করতে পারবেন, নগণ্য পরিশ্রমে... :)  

"আপনার হোম পেইজে রক্তের কোনো আবেদন দেখলে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা না করে সেই পোষ্টে একটি কমেন্ট করুন... হোম পেইজে যতটি  রক্তের পোস্ট দেখবেন, সবগুলোতে করুন... কমেন্টটি হতে পারে "হ্যাপি, ব্লাড ডোনেটিং", কিংবা "ইনশাআল্লাহ রক্তদাতা পাওয়া যাবে" বা "চেষ্টা করছি" - বা এমন কিছু...

এতে কি হবে? :)

এতে আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট এবং ফলোয়ার লিস্টের হোম পেইজে নিউজ ফিডে সেই রক্তের পোস্টটি দেখা যাবে... বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে রক্তের পোস্টটি পৌঁছে যাবে, এবং অনেকেই হয়তো রক্তদানে এগিয়ে আসবে :)

এ পদ্ধতি কিন্তু পরীক্ষিত এবং কার্যকরী... :)

আপনার হোম পেইজ প্রতি ঘন্টায় একবার রি-ফ্রেশ করুন এবং রক্তের পোষ্টে কমেন্ট করুন... দেখবেন আমরা যারা রক্ত নিয়ে কাজ করছি তাঁদের কাজ কতটা সহজ করে দিতে পারবেন... আপনি নিজের মাঝেও ভাল লাগা অনুভব করবেন... গ্যারান্টেড :)

------------
পোষ্টে যাদের যুক্ত করেছি, আপনারা চাইলেই এই ট্রেন্ডটা শুরু করে অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারবেন... আপনাদের সেই ক্ষমতা আছে বলে আমি বিশ্বাস করি... :)

মুমূর্ষু রোগীকে সাহায্য করুন প্রতিদিন সাধারন একটি কমেন্টের মাধ্যমে :)

Facebook Link

আমার অফিসের বস কে রক্তদানে পাঠাচ্ছি সকালে... ;)

Facebook Link

'বি পজিটিভ' কি গরুর রক্ত? ;)

'বি পজিটিভ' কি গরুর রক্ত? ;)

ঘটনা হইলো, সহজলভ্য রক্ত বুঝাতে অনেকে মজা করে 'বি+' কে বলে গরুর রক্ত... যদিও গরুর রক্ত শুধু বি+ না... গরুর বেলায় A, B, C, F, J, L, M, R, S, T ও Z এই ১১ টি প্রধান রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায়... ;)

আর হ্যাঁ, সহজলভ্য রক্ত বলতে আসলে কিছু নাই... জরুরী প্রয়োজনে সব রক্তের গ্রুপই জরুরী... সহজলভ্য রক্তের মানুষ বেশি বলে রোগীর সংখ্যাও বেশি, তাই রক্তের প্রয়োজনও বেশি... You have to বুঝতে হবে :)

Facebook Link

"শুভ ভাই, ৩ ব্যাগ রক্ত পাঠাই দেন তো"  -_-

রক্তের প্রয়োজন???

দাঁড়ান এখনি বানিয়ে দিচ্ছি... :D

পর্যাপ্ত পরিমান গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, অ্যালুবুমিন, ফিব্রিনোজেন, খনিজলবণ, হরমোন, ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড এবং অল্প পানি মিশিয়ে দিবো ঘুঁটা... হয়ে গেল প্লাজমা... :D

এখন আলাদা পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমান লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লাটিলেট নিয়ে আবার ঘুঁটা... হয়ে গেলো রক্তকণিকা... :P

এবার শেষ ধাপ, এক ব্যাগের ৫৫% পরিমান প্লাজমা নিবো, তারপর ৪৫% পরিমান রক্তকনিকা নিয়ে এবার দিবো ঝাঁকি... ব্যাস হয়ে গেল, রক্ত... :v

নিয়ে যান... কয় ব্যাগ লাগবে? :p

(কিছু রোগীর কথা বার্তা শুনলে মনে হয় আমি এভাবে রক্ত বানাই আর সাপ্লাই দেই...
"শুভ ভাই, ৩ ব্যাগ রক্ত পাঠাই দেন তো" ) -_-

Facebook Link

That "ধুকপুক ধুকপুক" moment

That "ধুকপুক ধুকপুক" moment
যখন একজন দুর্লভ গ্রুপের রক্তদাতাকে বলি "ভাই, এই রোগীকে রক্তদান করতে পারবেন?"
এবং অন্যপাশে লেখা উঠে "Seen" এবং "___ is typing" ...

‪#‎the_moment_of_truth‬

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

রক্তদানের প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা?

...সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...

রক্তদানের প্রসঙ্গে আপনাদের কারো কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা বা কনফিউশন বা সাজেশন থাকলে দয়া করে কমেন্ট করুন...

রক্তদানে ভীতি বা আগ্রহ বা অভিযোগ বা অনুপ্রেরণা বা ভাল অভিজ্ঞতা বা খারাপ অভিজ্ঞতা বা ইচ্ছা বা অভিব্যাক্তি থাকলেও, প্লিজ শেয়ার করুন এখানে...

সব কিছুর উত্তর বা ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করবো... আমি নিজে না জানলেও অন্যদের থেকে জেনে বা রিসার্চ করে হলেও উত্তর দেবার চেষ্টা করবো...  রক্তদান সম্পর্কিত যেকোনো কিছুর পরিষ্কার ধারনা থাকা চাই আমাদের সবার... যত রকমের প্রশ্ন মাথায় আসে, জাস্ট জিজ্ঞেস করুন... এনিথিং... সবাই একসাথে মিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো...

(এবং একই সাথে আমার ফ্রেন্ড লিস্টের ডাক্তার ভাই/বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি... )

Facebook Link

"আমাদের দেশে যে গ্রুপের রক্ত দরকার শুধুমাত্র সেই গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত নেয়া হয়.. অন্য গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত গ্রহন করা হয় না"

আমরা সবাই জানি, আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও পড়েছি, যে
-  'ও নেগেটিভ' হল সার্বজনীন দাতা
-  'এবি পজেটিভ' হল সার্বজনীন গ্রহীতা
অর্থাৎ 'ও নেগেটিভ' রক্তগ্রুপের রক্তদাতা অন্য সকল রক্তগ্রুপের রোগীদের রক্তদান করতে পারেন... এবং 'এবি পজেটিভ' রক্তগ্রুপের রোগী সকল রক্তগ্রুপের রোগী থেকে রক্ত গ্রহন করতে পারেন...
------------------- ------------------- -------------------

কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের দেশে এমন করা হয় না... যে গ্রুপের রক্ত দরকার শুধুমাত্র সেই গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত নেয়া হয়... অন্য গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত নেয়া হয় না... ও নেগেটিভ হলেও না...

বেশ কিছু ডাক্তার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিচের কারনগুলো বের করেছিঃ

- এই পদ্ধতি ব্যয়বহুল...

- রক্তের অনেক ধরনের টাইপ আছে যেমন ডাফি, লুইস ইত্যাদি... এইগুলোর স্ক্রিনিং টেস্টের উপাদান (রিজেন্ট) আমাদের দেশে সহজলভ্য না...

- একই রক্ত গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহন করা নিরাপদ...

- রক্তের সহজলভ্যতা... (সহজলভ্যতা !!!! শুনে টাস্কি খাইসিলাম... )

------------------- ------------------- -------------------

আমাদের দেশে পিজি হাসপাতালে এই স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা আছে কিন্তু এর তেমন কোনো প্রয়োগ নেই...

সুতরাং সারাংশ হল, "আমাদের দেশে যে গ্রুপের রক্ত দরকার শুধুমাত্র সেই গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত নেয়া হয়.. অন্য গ্রুপের রক্তদাতা থেকে রক্ত গ্রহন করা হয় না".

আমার ফ্রেন্ড লিস্টের অসংখ্য ডাক্তার বন্ধুরা আছেন... যদি আরো কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে সবাই উপকৃত হবো :)

হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link

'Plateletpheresis' বা 'প্লাটিলেটফেরেসিস'

আপনি একাই যখন "৪ জন রক্তদাতা"... :)

নাহ ৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হবে না সেজন্য, মাত্র ১ ব্যাগ প্লাটিলেট দিলেই আপনি কিন্তু ৪ জন রক্তদাতার কাজ একাই করতে পারবেন... :)

কিভাবে?

তবে এর আগে চলুন আমরা কিছু বেসিক তথ্য জেনে নেই... ধরুন, একজন ক্যান্সার রোগীর জন্য ১ ইউনিট / ১ ব্যাগ প্লাটিলেট প্রয়োজন... সাধারনত এই এক ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করতে ৪ জন রক্তদাতার প্রয়োজন হয়... প্রথমে ৪ জন রক্তদাতা থেকে ৪ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং প্রতি ব্যাগ রক্ত থেকে প্লাটিলেটগুলো আলাদা করে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট করা হয়...

এবার জেনে নেই, আপনি কিভাবে ৪ জন রক্তদাতার কাজ একাই করবেন :)

'Plateletpheresis' বা 'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতিতে ১ ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করতে ৪ জন রক্তদাতার প্রয়োজন হয় না... একজন রক্তদাতা থেকেই ১ ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়... তার মানে , সাধারন পদ্ধতিতে যেখানে ৪ জন রক্তদাতার প্রয়োজন হয়, সেখানে 'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতিতে মাত্র ১ জন রক্তদাতার প্রয়োজন হয়... অর্থাৎ আপনি একাই ৪ জন রক্তদাতার কাজ করে ফেলছেন :)

এখন প্রশ্ন হতে পারে, আপনি ৪ জনের প্লাটিলেট একাই দিচ্ছেন এতে আপনার শারীরিক কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা... চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, 'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতিতে একজন রক্তদাতা থেকে প্লাটিলেট সংগ্রহ করলে রক্তদাতার শরীর থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ প্লাটিলেট কমে যায়, যা ক্লিনিকালি তেমন কোনো বড় অংশ নয় রক্তদাতার জন্য... মানে, যতটুকু প্লাটিলেট কাউন্ট কমছে তা রক্তদাতার শারীরিক কোনো অসুবিধার কারন হবে না... সম্পূর্ণ নিরাপদ... :)

এবং সবচেয়ে মজার তথ্য হল, প্লাটিলেটের জীবনকাল মাত্র ৮ থেকে ৯ দিন... এবং তাই, আপনি চাইলে প্রতি ১৫ দিন পর পর প্লাটিলেট দান করতে পারেন... বছরের ২৪ বার দান করাও সম্ভব... কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে... :)

(প্লাটিলেট দান করার ১৫ দিন পর সরাসরি রক্তদানও করতে পারবেন...)

----------------------------------------------------------------------------------------

'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে?

- প্রথমে রক্তদাতার শরীর থেকে কিছু পরিমান রক্ত 'প্লাটিলেটফেরেসিস' মেশিনটির একটি পাত্রে জমা হয় এবং সে পাত্র থেকে রক্তের প্লাটিলেট, প্লাজমা এবং রেড ব্লাড সেল আলাদা হয়ে ৩ টি আলাদা পাত্রে জমা হয়... তারপর, এই জমাকৃত 'রেড ব্লাড সেল' গুলো যান্ত্রিকভাবে রক্তদাতার শরীরে আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়... প্লাটিলেট এবং প্লাজমা কিন্তু আগের পাত্রেই আলাদা রয়ে গেল...
- 'রেড ব্লাড সেল' শরীরে ফিরে যাবার পর প্রক্রিয়াটি আবার প্রথম থেকে শুরু হয়... অর্থাৎ নতুন করে আরো কিছু রক্ত মেশিনটির পাত্রে জমা হয়... সেখান থেকে প্লাটিলেট, প্লাজমা এবং রেড ব্লাড সেল আলাদা পাত্রে জমা হয়... এবং 'রেড ব্লাড সেল' গুলো পুনরায় শরীরে ফিরিয়ে দেয়া হয়...
- এভাবে যখন প্লাটিলেটের পাত্রটি পূর্ণ হয়ে যায়, তখন প্লাটিলেটের পাত্রটি সরিয়ে নেয়া হয় এবং আলাদা পাত্রে জমা হওয়া 'প্লাজমা' পুরোটাই রক্তদাতার শরীরে আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়...

ব্যস :)

----------------------------------------------------------------------------------------

নোটঃ
১) 'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতি অনেক সময় সাপেক্ষ... এই পদ্ধতিতে প্লাটিলেট দান করতে দেড় থেকে ২ ঘন্টা সময় লাগে... (৪ জনের কাজ একাই করছেন, একটু সময় না হয় লাগলই ;) গান শুনতে থাকবেন, ফেইসবুক গুতাবেন, ম্যাগাজিন পড়বেন... দেখবেন ২ ঘন্টা এমনি চলে যাবে :) )
২) এই পদ্ধতির জন্য স্বাস্থ্যবান রক্তদাতার প্রয়োজন হয়... কমপক্ষে ৫৫ কেজি ওজন হতে হয়... এবং পুরুষ রক্তদাতা হলে ভাল... কারন পুরুষ রক্তদাতাদের প্লাটিলেট কাউন্ট বেশি থাকে...
৩) 'প্লাজমা' ফিরিয়ে দেয়ার সময় রক্তদাতা বেশ 'শীত শীত' অনুভব করেন... 'প্লাজমা'গুলো সমস্ত শরীরের সাথে এডজাস্ট হতে কিছুটা সময় লাগে, তাই এমন অনুভূত হয়...
৪) এই পদ্ধতিতে প্লাটিলেট সংগ্রহ ব্যয়বহুল... তবে ৪ জন রক্তদাতা ম্যানেজ করা থেকে ১ জন রক্তদাতা খুজে পাওয়া বেশ সহজ - তাই এই পদ্ধতি অনেক গ্রহণযোগ্য...
৫) 'প্লাটিলেটফেরেসিস' পদ্ধতিকে অনেকে 'এফেরেসিস' পদ্ধতিও বলে... যদিও 'এফেরেসিস' আরো বিস্তৃত বিষয়... 'এফেরেসিস' সিস্টেমের মধ্যে যেটায় শুধু প্লাটিলেট কালেক্ট করা হয় সে পদ্ধতির নাম 'প্লাটিলেটফেরেসিস'...
৬) আমাদের দেশে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল, ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, এপোলো হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটাল, ক্যান্সার হাসপাতালে 'প্লাটিলেটফেরেসিস' এর ব্যবস্থা রয়েছে...

----------------------------------------------------------------------------------------
জেমস হ্যারিসন ('Man with the golden arm') এই পদ্ধতিতে ১০০০+ বার প্লাজমা দান করেছিলেন :)
গুরু 'জেমস হ্যারিসন'কে নিয়ে আরেকদিন বিস্তারিত লিখবো :)

Facebook Link

"নিজ নিজ ক্ষেত্রে রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করুন"

- আপনি কি গান লিখতে বা গাইতে পারেন?
তবে লিখে ফেলুন না রক্তদান নিয়ে একটি গান... খালি গলাতেই গেয়ে উঠুন রক্তদানের গান...

- কিংবা আপনি কি ছবি আঁকায় পারদর্শী?
ড্রইং বা পেইন্টিং করে ফেলুন রক্তদানের কোনো থিম নিয়ে...

- কিংবা আপনি কি অভিনয় জগতের কেউ?কিংবা আপনি কি নাটক, সিনেমার ডিরেক্টর?
আপনার পরিচিত সকলের সাহায্য নিয়ে বানিয়ে ফেলুন রক্তদানের একটি শর্ট ফিল্ম...

- কিংবা আপনি কি কোনো পত্রিকার বা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক?
পত্রিকার এক কোনায় হলেও প্রচার করুন রক্তদানের সুফলতা... রক্তদানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৈরি করে ফেলুন ৫ মিনিটের একটি প্রতিবেদন... প্রচার করুন আপনার চ্যানেলে...

- কিংবা আপনি কি অনলাইন জগতের বিখ্যাত কেউ?
ফেইসবুকে আপনার রয়েছে হাজার হাজার ফলোয়ার? কারা রক্তদান করতে পারবে, কেন রক্তদান করবে, রক্তদানের উপকারিতা, ভুল ধারনাগুলো ইত্যাদি বিস্তারিত লিখে একটা পোস্ট দিন না? আপনার এক পোষ্টেই হাজার হাজার মানুষ রক্তদানের ব্যাপারে অনেক কিছু জেনে যাবে...

- কিংবা আপনি কি একজন ভাবুক কবি?
লিখে ফেলুক রক্তদানের একটি কবিতা...

- কিংবা আপনি কি ছোট গল্প লিখতে পারেন?
সহজ সুন্দর ভাষায় লিখে ফেলুন একজন রক্তদাতার কিংবা একজন রোগীর আত্মকথা... উৎসাহমুলক গল্প লিখে ফেলুন...

- কিংবা আপনি কি একজন ফটোগ্রাফার?
আপনার ক্যামেরা হাতে নিয়ে চলে যান কোয়ান্টামে কিংবা কোনো হাসপাতালের রক্ত সংগ্রহের রুমে... আপনার ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন একজন রক্তদাতার রক্তদানের আনন্দ...

- কিংবা আপনি কি গ্রাফিক ডিজাইনার?
বানিয়ে ফেলুন রক্তদানের বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি... কিংবা কভার ফটো... কিংবা 3D গ্রাফিক্স... আপনার এতদিনের সকল ক্রিয়েটিভিটি 'এক' করে বানিয়ে ফেলুন অসাধারন কিছু...

- কিংবা আপনি কি কোনো এফ.এম রেডিও চ্যানেলের আর.জে?
রেডিও প্রোগ্রামের ফাঁকে ফাঁকে ২/৩ বাক্য বলে ফেলুন না রক্তদান নিয়ে... কিংবা রক্তদানের গান প্রচার করুন আপনার প্রোগ্রামে... কোথায় কখন রক্তদানের ক্যাম্পেইন হচ্ছে, কোথায় কখন "ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং" হচ্ছে - জানিয়ে দিন আপনার লিসেনারদের...

- আপনি কি কোনো টিভি চ্যানেলের এম.ডি?
রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে আপনার রয়েছে অপরিসীম ক্ষমতা... আপনার চ্যানেলকে "রক্তদানের উৎসাহ কেন্দ্র" হিসাবে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব... আপনার চ্যানেলে হতে পারে রক্তদান নিয়ে "টক শো", হতে পারে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে রক্তদাতাদের ফোনো লাইভ কনসালটেন্সি... ব্রেকিং নিউজের স্ক্রলারে প্রচারিত হতে পারে রক্তদানের বিভিন্ন বিষয়, কিংবা জরুরী রক্তের কোনো রিকুয়েস্ট... সারাদেশের মানুষের কাছে হয়তো খুব সহজেই রক্তদানের আহবান পৌঁছে যাবে...

- কিংবা আপনি কি একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী?
আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের রক্তদানে উৎসাহিত করতে পারেন - যেমন যে কর্মচারী আজ রক্তদান করেছেন, তার জন্য পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অফিস থেকে ছুটি প্রদান করা...
কিংবা আপনার বাৎসরিক লভ্যাংশের কিছু অংশ দান করুন ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পেইনের জন্য... বিশ্বাস করুন, একটি ক্যাম্পেইনের জন্য ৫,০০০ টাকা এর বেশি খরচ হয় না, কিন্তু এমন একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমেই শত শত নতুন রক্তদাতা পাওয়া সম্ভব, সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব... আমার অনেক ছোট ভাইরা (সবাই এখনো ছাত্র) আছে যারা শুধুমাত্র টাকার অভাবে নিয়মিত ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং এর ক্যাম্পেইন করতে পারে না... আপনার সাহায্যে হয়তো তারা তাদের নিজস্ব এলাকায় নিয়মিত ক্যাম্পেইন করতে পারবে...

===============
এই পোষ্টের মুলভাব হল, আপনি যেকোন ক্ষেত্রেই পারদর্শী হন না কেন, সে ক্ষেত্রেই কিছু করে দেখান... স্ব-স্বক্ষেত্রে রক্তদানের জন্য সচেতনতা তৈরি করুন কারন রক্তদানে মানুষকে সচেতন করাই এখন আমাদের প্রথম এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ... সবাই যখন রক্তদানের সকল ভয় দূর করে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে রক্তদানে এগিয়ে আসবে তখন মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের আর অভাব হবে না আমি বিশ্বাস করি... বাংলাদেশের রক্তের চাহিদা পূরণে আরো প্রচুর নতুন রক্তদাতার প্রয়োজন... কিন্তু এই নতুন রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে পারি শুধু আমি, আপনি এবং আমরা...

যিনি একবার রক্তদান করেছেন, তিনি বার বার রক্তদান করতে প্রস্তুত... সুতরাং আমাদের টার্গেট শুধু এটাই, একজন নতুন রক্তদাতার সৃষ্টি করা... ব্যাস, এই নতুন রক্তদাতা বার বার রক্তদানের আনন্দ ফিরে পাবার জন্য নিয়মিত রক্তদান করতেই থাকবে... সারাজীবন :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

"অটো-ট্রান্সফিউশন / Auto-transfusion"

ধরুন, একজন "এবি নেগেটিভ" রোগীর ১ সপ্তাহ পরে একটা অপারেশন হবে... "এবি নেগেটিভ" - সবচেয়ে দুর্লভ রক্ত... রক্তদাতা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না... অপারেশন তো করাতেই হবে, আবার রক্তও পাওয়া যাচ্ছে না... 'শাঁখের করাত' এর মত অবস্থা...

এর একটা বিকল্প সমাধান আছে... এবং এ সমাধানটি শুধু সম্ভব যদি তৎক্ষণাৎ রক্তের প্রয়োজন না হয় (যেমন এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পর রক্তের প্রয়োজন এমন কেইসে)...

সমাধানটি হল " অটো-ট্রান্সফিউশন / Auto-transfusion"... :)

কিন্তু, কি এই অটো-ট্রান্সফিউশন? সংজ্ঞা অনুসারে, অটো-ট্রান্সফিউশন হল এমন এক পদ্ধতি যেখানে রোগী নিজেই হলেন নিজের রক্তদাতা... :)

**
এই পদ্ধতিতে অপারেশনের এক বা দুই সপ্তাহ আগে রোগী নিজেই এক -দেড় ব্যাগ রক্ত দিয়ে হাসপাতালে রক্ত সংরক্ষণে রেখে দিবে... এক বা দুই সপ্তাহ পরে অপারেশনের সময় নিজের রক্তই নিজের শরীরে আবার পুশ করা হবে... এই এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে তার শরীরের প্লাজমা, প্লাটিলেট ভলিউম রিপ্লেস হয়ে যায়... আর রক্তের জলীয় অংশ ২৪ ঘন্টার মাঝেই পুরন হয়ে যায় :)
**

ব্যস, অপারেশনও হয়ে গেল... রক্তও পাওয়া গেল :)

'অটো-ট্রান্সফিউশন' এর আরো বেশ কিছু সুবিধাও আছে, যেমনঃ  
- রোগীর নিজের রক্ত নিজেই গ্রহন করছে, তাই ক্রস ম্যাচিং এর প্রয়োজন নেই...
- বিভিন্ন রকমের রক্ত পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করার প্রয়োজন নেই...
- নিজের রক্ত, তাই অনেক নিরাপদ :)
- যেহেতু ক্রস ম্যাচিং বা স্ক্রিনিং করতে হচ্ছে না, তাই খরচও অনেক কম :)

------------------------------
দুর্লভ রক্ত গ্রুপের মানুষের জন্য 'অটো-ট্রান্সফিউশন' হল এক আশীর্বাদ :)

-------------------------------
- এই পদ্ধতির জন্য রোগীর হিমোগ্লোবিন লেভেল সঠিক থাকতে হবে...
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী 'অটো-ট্রান্সফিউশন' করতে হবে...

Facebook Link

"ব্লাড গ্রুপ হোক যথা তথা, কর্ম হোক 'বি পজেটিভ' ;)"

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

"আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বেশি, তার মানে আপনার রেস্পন্সিবিলিটিস বেশি..."

By sHuvo WhtЄvR

ধরুন, ফেইসবুকে একটি রক্তের পোস্ট এলো... এই রোগীকে সাহায্য করতে হলে স্বভাবতই অরিজিনাল পোস্টটি সবাই শেয়ার করবে...

এখন মনে করুন আপনার অনেক ফলোয়ার, আপনি রোগীর যোগাযোগের নম্বরে কথা না বলেও পোস্টটি কপি করে আপনার ওয়ালে দিলেন... অর্থাৎ রোগীর কাছ থেকে লেটেস্ট আপডেট না জেনেই আপনি কিন্তু পোস্টটি করে দিলেন... এখন অনেক কিছুই হতে পারে...

১) রোগীদের হয়তো আরো অনেক আগেই রক্ত ম্যানেজ হয়ে গিয়েছিল (আপনি জানেন না কারন আপনি তো কল দেননি)... এইদিকে রোগীরা একটার পর একটা অপ্রয়োজনীয় কল পেতে পেতে অতিষ্ঠ... তখন বাধ্য হয় মোবাইল বন্ধ করে দিতে... এতে তারা অনেক প্রয়োজনীয় কল থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে...
সুতরাং "আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বেশি, তার মানে আপনার রেস্পন্সিবিলিটিস বেশি..."

২) পোষ্টে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরটিই হয়তো ভুল...যিনি প্রথম পোস্টটি দিয়েছেন তিনি হয়তো অসাবধানতাবসত একটি ডিজিট ভুল লিখে ফেললেন.... এখন আপনিও যদি যাচাই না করে ভুল নম্বরটি আপনার ওয়ালে পোস্ট করেন, এই ভুল নম্বরটি শেয়ার হল... এতে কি হল? রোগীর কোনো উপকার হল না, হাজারো মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হল এবং ভুল নম্বরটি যার উনার মোবাইল বন্ধ করে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই...
সুতরাং "আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বেশি, তার মানে আপনার রেস্পন্সিবিলিটিস বেশি..."

(আরো অনেক পয়েন্ট আছে... পরে বিস্তারিত লিখবো...)

যদি আপনার ফলোয়ার সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে, তাহলে রোগীর সাথে আগে কথা বলে লেটেস্ট আপডেট জেনে নিন, তারপর পোস্ট দিন... কারন আপনার পোষ্টের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে... অনেক মানুষের কাছে তথ্যটি ছড়িয়ে যাচ্ছে... আপনাকে সতর্ক হতেই হবে...

Facebook Link

বন্ধুর গায়ে হলুদ, বাস ভ্রমন এবং নেগেটিভ রক্তদাতাগন...

By sHuvo WhtЄvR

অফিস শেষে সন্ধ্যায় রওনা দিলাম বন্ধুর গায়ে হলুদের প্রোগ্রামে... তিল ধারণের জায়গা নেই এমন বাসে উঠে কোনরকমে ঝুলে আছি... তখনি জানতে পারি "এই মুহূর্তে সরওয়ার্দি হাসপাতালে ২ ব্যাগ বি- রক্তের প্রয়োজন"... নক দিলাম বি- রক্তদাতা Najmul Alam ভাই এবং Habiba Sultana Banna আপুকে... বাহ দুইজনই রাজি ;)

গায়ে হলুদের প্রোগ্রামে যখন সবাই ফটোসেশনে ব্যস্ত, তখন আমি মোবাইল গুতাচ্ছি কারন চট্টগ্রামে জরুরী এ- রক্তের প্রয়োজন... কল দিলাম চট্টগ্রামের মিনহাজ ভাইকে... বাহ, এক কথাতেই মিনহাজ ভাই রাজি ;)

প্রোগ্রাম শেষে আবার ১ হাতে বাসে ঝুলে বাসায় ফিরছি... তখন মোবাইলে টেক্সট এলো, চট্টগ্রামে ও নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন... রাতের মধ্যেই... রোগী ICU তে... কল দিলাম Jahangir Hossain Babu ভাইকে... বাহ, এক কলেই বাবু ভাই রাজি... ;)

দিনটি বেশ ভাল গেল :)

Facebook Link

সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আমরা মুমূর্ষু রোগীর জন্য হাজার হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিচ্ছি...

By sHuvo WhtЄvR

Facebook Link

আমাদের আশেপাশেই সাধারনের বেশে আছেন কিছু "সুপার ম্যান"...

By sHuvo WhtЄvR

দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যেকোন শিল্পী বা সেলিব্রিটি বা প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করি... হয়তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোন রেসপন্স পাই না... কিন্তু অনেকেই আবার আমাকে ভালবাসায় সিক্ত করেছেন... :)

রক্তদানের কার্টুন আঁকতে বসেছিলাম একদিন... দীর্ঘ ১ ঘন্টা পেন্সিল আর কাগজ অপচয় করে বুঝতে পারলাম এইটা আমাকে দিয়ে সম্ভব না... অবশেষে আমার কিছু কার্টুনিস্ট ভাই আমার এই স্বপ্ন পুরন করে দিয়েছেন... কৃতজ্ঞতার ভাষা আমার জানা নেই... :)

- MD Morsalin ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ এই কার্টুনের জন্য :)

এই কার্টুনের মূলভাবঃ
- আমাদের আশে পাশেই সাধারন বেশে কিছু "সুপার ম্যান" রয়েছেন যাদের আমরা শুধুমাত্র জরুরী মুহূর্তেই চিনতে পারি... এবং আবিষ্কার করি "আরে, এইতো সুপার ম্যান...":)

(বড় করে দেখতে ছবিটিতে ক্লিক করুন)

Facebook Link

Luis #Suarez Fact...

By sHuvo WhtЄvR

জরুরী রক্তের প্রয়োজনের একটি পোষ্টে 'একজন'' এর কমেন্ট... (বড় করে দেখতে ছবিটিতে ক্লিক করুন)

Facebook Link

"ame roga!!!"

By sHuvo WhtЄvR

ইনবক্স থেকেঃ

একজনঃ vi, ame roga. blad dite parbo?
- আমিঃ না ভাই... রোগা হলে রক্তদান করা যায় না... উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকতে হয়...
একজনঃ oo. ugon tik ase. ugon 57 kg.
- আমিঃ তাহলে তো রক্তদান করতে পারবেন... আপনি তো রোগা না... শারীরিক কোন অসুস্থতা আছে?
একজনঃ na ni. ame roga
- আমিঃ শারীরিক সমস্যা নাই, ওজন ঠিক আছে, তাহলে আপনি রোগা কিভাবে? :\
একজনঃ uf. rogi na, ame roga. seri r por khi ni
- আমিঃ ওহ আচ্ছা... আপনি রোজা?
একজনঃ hmmm
- আমিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ, রোজা রেখে রক্তদান করা যায়... রোজা ভাঙ্গে না :)
একজনঃ tnx

-----
আরেকটু হইলে তো একজন রক্তদাতা হারাইতাম :\

Facebook Link

"বোম্বে ব্লাড গ্রুপ"

By sHuvo WhtЄvR

আচ্ছা বলুন তো, সবচেয়ে দুর্লভ রক্তের গ্রুপ কোনটি? "এবি নেগেটিভ?"

উত্তরটি ভুল হল... "এবি নেগেটিভ" রক্ত থেকেও দুর্লভ আরেকটি রক্তের গ্রুপ আছে যা এই যাবৎকালের আবিষ্কৃত সকল রক্ত গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে দুর্লভ...

রক্ত গ্রুপগুলোর নামকরন করা হয় এন্টিজেন এবং এন্টিবডির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে... যেমনঃ
A(+ve) রক্ত গ্রুপে "A এন্টিজেন" থাকে, কিন্তু এন্টিবডি হিসাবে থাকে "B এন্টিবডি"...
B(+ve) রক্ত গ্রুপে "B এন্টিজেন" থাকে, কিন্তু এন্টিবডি হিসাবে থাকে "A এন্টিবডি"...
আবার AB(+ve) রক্ত গ্রুপে "A এন্টিজেন" এবং "B এন্টিজেন" থাকে, কিন্তু এন্টিবডি হিসাবে কিছুই নেই...

(বিস্তারিত জানতে, এই ছবিটি দেখুনঃ
http://donatebloodbd.com/bombay-blood-group.jpg
আর আলোচনার সুবিধার্থে H, Rh, D এই এন্টিজেনগুলো নিয়ে আলোচনা করিনি এখানে... ছবি দেখে বুঝে নিন...)

আমাদের পরিচিত ৮টি রক্ত গ্রুপে কোনো না কোনো এন্টিজেন থাকেই... কিন্তু এমন একটি রক্তের গ্রুপ আছে যার কোন এন্টিজেন নেই, সবগুলোই এন্টিবডি, মানে "A এন্টিবডি", "B এন্টিবডি" থাকে কিন্তু কোন এন্টিজেন নেই... এই রক্তের গ্রুপ হল "বোম্বে ব্লাড গ্রুপ"... যা সারা পৃথিবী জুড়ে সবচেয়ে দুর্লভ রক্ত... বোম্বে শহরে (বর্তমানের মুম্বাই শহর) সর্বপ্রথম ১৯৫২ সালে এই রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন ডাঃ ভেডে... এই শহরের নাম অনুসারেই এই রক্তের নাম "বোম্বে ব্লাড গ্রুপ"... তবে এর অন্য নামও আছে "hh blood group"...

এই রক্তের গ্রুপ কতটা দুর্লভ, তা বুঝানোর জন্য একটা ছোট পরিসংখ্যান দিচ্ছি... বাংলাদেশে কোনো "বোম্বে ব্লাড গ্রুপ" এর মানুষ আছে কিনা আমি জানি না... ভারতে ১৭৯ জন পাওয়া গেছে, এবং সারা বিশ্বে খুব বেশি হলে আছে ২৮,০০০ জন (১ মিলিয়নে মাত্র ৪ জন)...

একবার চিন্তা করুন, এই রক্ত গ্রুপের একজন মানুষের যদি হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে সে লক্ষ মানুষের ভিড়েও নিজের রক্ত গ্রুপের মানুষ খুজে পাবে না... কতটা ভয়াবহ !!!
তাছাড়া, এই রক্তে কোন এন্টিজেন না থাকার কারনে অন্য কোনো গ্রুপের রক্ত প্রসেসিং করে রক্ত গ্রহন করা যায় না... শুধু মাত্র একজন "বোম্বে ব্লাড গ্রুপ" এর রক্তদাতা থেকেই "বোম্বে ব্লাড গ্রুপ" এর রোগী রক্ত গ্রহন করতে পারবে...

"বোম্বে ব্লাড গ্রুপ" এর ২৮ হাজার মানুষের সুস্থতা কামনা করি... মনের গভীর থেকেই কামনা করি...

(নোটঃ
অনেকের কনফিউশন হচ্ছে, তাই এই নোট... ও- রক্ত গ্রুপেও 'এ এন্টিজেন' বা 'বি এন্টিজেন' নেই, কিন্তু H এন্টিজেন আছে যা বোম্বে গ্রুপে থাকে না... )

Facebook Link

আমার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ?

By sHuvo WhtЄvR

আমার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ?

রক্তদান করে ফেললেই তো হয়... ৩ মাস কোনো যন্ত্রণা দিবো না ;)

Facebook Link

কে জয়ী হবে? ভয় নাকি রক্তদাতা?

By sHuvo WhtЄvR

এই মাত্র বাসায় ফিরলাম কোয়ান্টাম থেকে... সেখানে এক রোগীর রক্তের প্রয়োজনে একজন ডোনার রক্তদান করতে এসেছে... কিন্তু প্রথম রক্তদানে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছিল... উনার মুখ দেখে আমারো মায়া হচ্ছিল... কোয়ান্টামের এক আপু এই রক্তদাতাকে সাহস দিচ্ছিলেন... এই আপুর একটি কথা বেশ টনিকের মত কাজ করলো...

"রক্তদানের এই ভয়কে আপনি পরাজিত করবেন নাকি এই ভয়ের কাছে আপনি নিজে পরাজিত হবেন? এবার ভেবে দেখুন..."

বেশিক্ষণ ভাবতে হয়নি... ডোনার রক্তদানের কক্ষে ঢুকে গেলেন :)

--------------------
যারা এখনো রক্তদানে ভয় পাচ্ছেন, ভেবে দেখুন কাকে জিততে দিবেনঃ 'ভয়কে' নাকি 'নিজেকে'? :)

Facebook Link