DonateBloodBD Call Center

01756963308 অথবা 01748306027

সাবধানতা

রক্তের বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে বুঝে নিবেন সে প্রতারক। প্রকৃত রক্তদাতা কখনো টাকার বিনিময়ে রক্তদান করে না।

Go To Page: 1 | 2 | 3 | 4 | 5

সন্তানকে রক্তদানে উৎসাহিত করুন...

By sHuvo WhtЄvR

দৃশ্যপট একঃ
মুমূর্ষু রোগী... রক্ত বমি করছেন গতরাত থেকে...দুর্লভ রক্ত "বি নেগেটিভ"... রক্ত বমি থামছে না...যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তের দরকার...

দৃশ্যপট দুইঃ
দুর্লভ "বি নেগেটিভ" রক্তবহনকারী রক্তদাতাকে বোঝানো হল রোগীর শারীরিক অবস্থা। রক্তদাতা রাজিও হলেন... রক্তদাতার মা জানতে পারলেন ছেলে রক্তদানে যাবে... মা কান্না শুরু করলেন... কোনভাবেই ছেলেকে রক্তদানে পাঠাবেন না... মা'কে বোঝানো হল রোগীর শারীরিক অবস্থা...রক্ত না পেলে এই রোগী হয়তো মারা যাবেন...কিন্তু মা বুঝতে নারাজ... ছেলে রক্তদানে এলেন না...

আমি জানতে চাই...
১৯৭১ সালে যদি মায়েরা তাঁর ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে না পাঠাতেন তাহলে কি আমরা এই স্বাধীন দেশ পেতাম? কিংবা বৃহৎ স্বার্থে যদি ছেলেরা ঘর ছেড়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে না পরতো তাহলে কি আর উচ্চ গলায় এখন গাইতে পারতাম "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি"?

মা, বৃহৎ স্বার্থে ছেলেকে যুদ্ধে যেতে দাও...রক্তবমিতে মৃতপ্রায় মানুষকে বাঁচাতে দাও...

=================
নোটঃ এই রোগীর জন্য অন্য রক্তদাতা খুঁজে পেয়েছিলাম। রোগী ভাল আছেন এখন। কিন্তু কথা হল, রক্তদানে মায়েদের উচিত সন্তানদের উৎসাহিত করা। সন্তান যদি শারীরিক ভাবে রক্তদানের যোগ্য হয়, তাহলে কেন একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে ছেলেকে বাঁধা দিবেন? রক্তদানে ভয়ের কিছু নেই।

===========
নোটঃ উপরের পোস্টটি দিয়েছিলাম ৩/৪ মাস আগে... আর এখন লেটেস্ট আপডেট হল, এই ছেলেটি গত মে মাসে রক্তদান করেছে... এবং এখন থেকে নিয়মিত রক্তদানে বদ্ধ পরিকর :)

পরিবর্তন এসেছে, আরো আসবে :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

হিমুর রক্তদান...

By sHuvo WhtЄvR

হুমায়ূন স্যার যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে উনাকে একটা রিকুয়েস্ট করতাম...

"হিমুকে দিয়ে একবার রক্তদান করানোর জন্য..."

এতে হাজারো হিমু রক্তদানে এগিয়ে আসতো...

Facebook Link | Facebook Link 2

ছুটির দিনে রক্তদান...

By sHuvo WhtЄvR

আজ শুক্রবার। আহা প্রতীক্ষিত বন্ধের দিন।

আজ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে কে কে যাবেন? কিংবা যমুনা ফিউচার পার্কে শপিং করতে? কিংবা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতে? কিংবা আরাম'সে সারাদিন ঘুমাতে? হাত তুলুন তো ।

এবার পরবর্তী কথাগুলো শোনার পরও যাদের হাত উপরে থাকবে, কষ্ট করে একটু নামিয়ে এখানে কমেন্ট করুন।

"
আজ শুক্রবার। বন্ধের দিন। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে অফিস থাকে, ব্যস্ত থাকেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রক্তদান করা সম্ভব হয়ে উঠে না। আজ ফ্রী আছেন। রক্তদান করে ফেলুন না।

৩ মাসে আপনি ১২ টা শুক্রবার পাবেন। বাকি ১১টা শুক্রবার না হয় সিনেমা দেখবেন, শপিং করবেন, আড্ডা দিবেন কিংবা সারাদিন ঘুমাবেন। একদিনের এই ত্যাগ একজন মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিবে। আরেকবার ভেবে দেখবেন কি?
"

সবশেষে, হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

সেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে রক্তদান...

By sHuvo WhtЄvR

কয়েকমাস আগের কথা...

এক বাচ্চা শিশুর জন্য দুর্লভ "ও নেগেটিভ" রক্তের দরকার। আমি রক্তদাতা খুঁজে পেয়েছি, রক্তদাতার সাথে রোগীর বাবার যোগাযোগ করিয়ে দিলাম। কনফার্ম হল।

রোগীর বাবা কিছুক্ষণ পরেই আমাকে কল দিলেন "ভাই, রক্তদাতাকে কত টাকা দিতে হবে?"

আমি বললাম "উনি স্বেচ্ছায় রক্তদান করবেন। কোন টাকা দিতে হবে না। তবে রক্তদানের পরে পানি কিংবা জুসের ব্যবস্থা রাখবেন। রক্তদাতার তাড়াতাড়ি Recovery জন্য এটা দরকারি। আর একটি জিনিস করতে হবে, আপনার বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবার পরেও এই রক্তদাতার সাথে যোগাযোগ রাখবেন। এই রক্তদাতা নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছেন, বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে ভুল কিছু হবে না" :)

সেইদিন তিনি অনেক অবাক হয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন ঢাকায় "এ পজেটিভ" রক্তের দরকার পরলে যেন উনাকে জানাই। (তিনি আগেও রক্তদান করেছেন, কিন্তু কোন অপরিচিত রোগীকে রক্তদান করেননি।)

=====================
রক্তদানের পর রক্তদাতাকে টাকা গ্রহন করতে অনুরোধ করবেন না, এতে রক্তদাতা বিব্রত বোধ করেন।

রক্তদাতারা কখনো রক্তের বিনিময়ে টাকা চাইবেন না, এটা সম্পূর্ণ মানবতা বিরোধী (সুখবর হল, এমন রক্তদাতার সংখ্যা অতি নগণ্য :) আমি এতদিনে ২ জন পেয়েছি। এই কাহিনী পরে আরেকদিন বলব। )।
=====================

রক্তদান এমন একটি মহৎ কাজ যা অর্থ নিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। রক্তদাতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, এটাই অনেক পাওয়া।

হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং...

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3

সবসময় থাকুন "বি পজেটিভ" :)

By sHuvo WhtЄvR

একজন রক্তদাতা অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করে রক্তদান করতে হাসপাতালে যান।
- হয়তো অফিসের বস'কে হাজারো অজুহাত দেখিয়ে...
- কিংবা বাসায় কোন জরুরী কাজ ফেলে রেখে...
- কিংবা পরীক্ষা শেষে ক্লান্ত শরীরে...
- যাতায়াতে কষ্ট তো আছেই। বাসে ঝুলে কিংবা দীর্ঘক্ষন ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকে...

এত কষ্ট করে এবং এত ত্যাগ স্বীকার করে একজন রক্তদাতা হাসপাতলে পৌঁছানোর পর যখন জানতে পারেন যে রোগীর রক্তের দরকার পরবে না আর, রোগী আশংকামুক্ত কিংবা অপর একজন রক্তদাতা আপনি পৌঁছানোর আগেই রক্তদান করে ফেলেছেন, তখন অনেক রক্তদাতা বিরক্তবোধ করেন। মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়েন, কেউ কেউ রোগীর আত্মীয়দের উপর কিছুটা রেগে যান। ক্ষেত্র বিশেষে এর অনেক যুক্তিসঙ্গত কারনও থাকে।

কিন্তু রক্তদাতাদের প্রতি আমার একটি অনুরোধ আছে।
এমন ঘটনা যদি ঘটে যায়, তাহলে মন খারাপ করবেন না। এতদুর কষ্ট করে যাবার পরেও রক্তদান করতে পারেননি, এটা কিন্তু একটা পজেটিভ দিক। অনেক ভাল সংবাদ।
কিভাবে? একটু চিন্তা করে দেখুনঃ

১) রোগীর রক্তের দরকার পরছে না, রোগী আশংকামুক্ত। তার মানে রোগী ভাল আছেন। এটা নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ। ফিরে আসা রক্তদাতার খুশি হবার অন্যতম একটি কারন এটি হতে পারে :)

২) আপনি পৌঁছানোর আগেই অপর একজন রক্তদাতা রক্তদান করে ফেলছেন। এটাও সুসংবাদ কারন একজন মুমূর্ষু রোগীকে যত তাড়াতাড়ি রক্তদান করা যায় ততই রোগীর সুস্থ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রোগীর সুস্থতাই তো আমাদের কাম্য :)

৩) এত কষ্ট করে গেলেন কিন্তু রক্তদান করতে হল না। অত্যন্ত সুসংবাদ কারন আপনার ১ ব্যাগ রক্ত আপনার শরীরেই রয়ে গেল :)

৪) এত কষ্ট করে হাসপাতালে গেলেন কিন্তু রক্তদান করতে হল না। সুসংবাদ কারন আরেকজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করার জন্য আপনি এখনো একদম প্রস্তুত। তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে না। শীঘ্রই অন্য মুমূর্ষু রোগীর জন্য আপনার এই রক্ত কাজে লাগবে :)

তাই রক্তদাতাদের কাছে অনুরোধ করছি, রক্তদান না করেই যদি হাসপাতাল থেকে ফিরে আসতে হয়, তাহলে কখনো রাগ, অভিমান করবেন না। পজেটিভ দিকগুলো মাথায় রেখে পরবর্তী মুমূর্ষু রোগীর জন্য এগিয়ে যাবো :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

"জীবনে অন্তত 'একজন মানুষ'কে রক্তদানে উৎসাহিত করুন"

By sHuvo WhtЄvR

"নিজে রক্তদান করুন এবং জীবনে অন্তত 'একজন মানুষ'কে রক্তদানে উৎসাহিত করুন"...

হ্যাঁ, এই একটি কথা আমি প্রায় সময় বলি। আপনার আশেপাশের অন্তত একজন মানুষকে রক্তদানে অনুপ্রাণিত করুন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একজন রক্তদাতা যখন প্রথমবার রক্তদান করে আসেন, এরপর থেকে সেই রক্তদাতা তিন মাস পূর্ণ হবার অপেক্ষায় থাকে। :) দ্বিতীয়, তৃতীয় ... বার বার রক্তদানের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেন :)

আপনি যদি একজন মানুষকে একবার রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, তার মানে কিন্তু শুধু ১ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করা নয়; এর মাধ্যমে আপনি হয়তো একজন নিয়মিত রক্তদাতা সৃষ্টি করতে পারবেন। আমি আগে একটি গাণিতিক ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়েছিলাম যে, একজন মানুষ তার জীবনে সর্বোচ্চ ১৭২ বার রক্তদান করতে পারেন। তারমানে দাঁড়াচ্ছে, একজন রক্তদাতা সৃষ্টির মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ১৭২ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করতে পারবেন, মানে ১৭২ জন রোগীর জীবনরক্ষক হতে পারবেন :)

একজন মানুষের এই ছোট পরিসরের জীবনে এর থেকে বেশি পাওয়া আর কি হতে পারে :)

তাই "নিজে রক্তদান করুন এবং জীবনে অন্তত 'একজন মানুষ'কে রক্তদানে উৎসাহিত করুন"... হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link

"অর্থবহ জীবন"

By sHuvo WhtЄvR

এক ভাই কল দিলেন। রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসার পরদিন। কল করে আমাকে যা বললেন তা হল "ভাই, আপনি সারাদিন মোবাইলে রক্তদাতা ম্যানেজ করে দেন। সারাদিন মোবাইলে কাজ করেন। আপনি যদি রাগ না করেন আপনাকে একটা মোবাইল গিফট করার অনেক ইচ্ছা আমার। প্লিজ না করবেন না।"

আমার উত্তর ছিল "রোগী এখন সুস্থ আছেন জেনে অনেক ভাল লাগলো ভাই। তবে কোন গিফট নিতে পারছি না বলে দুঃখিত। আমার জন্য দোয়া করবেন সবসময়। শুধু এটাই চাই।" :)

উনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন বুঝতে পেরেছি।
------------------------

রক্তদান নিয়ে কাজ করি, বিনিময়ে কিছু পাবার আশায় করি না। এমনকি বিনিময়ে ধন্যবাদ পাবো এমন আশাও করি না কারন বেশির ভাগ রোগী আমাকে কোন আপডেটই জানায় না। রক্তদাতা থেকে জেনে নেই যে রক্তদান সফল ভাবে হয়েছে।

তবে এর মাঝেও কিছু কিছু রোগীদের সাথে এমন সম্পর্ক হয়েছে যে মনে হয় আমি উনাদের পরিবারের একজন সদস্য :)

- গত রোজায় রোগীর বাসায় ইফতারের দাওয়াত খাওয়া এবং আমার প্রতি তাদের অন্য রকম মমতা উপলব্ধি করা...
- ঈদে আমার জন্য নতুন শার্ট নিয়ে হঠাৎ হাজির...
- কিছুদিন পর পর কল করে আমার শরীর কেমন জেনে নেয়া...
- অফিসে গিয়ে এক কাপ চা খাবার আমন্ত্রণ
- আমার কোন সাহায্যের দরকার পরলে যেন অবশ্যই উনাদের জানাই...

ইত্যাদি ইত্যাদি...
------------------------
আজ এক বোন কল দিলেন... উনার বাচ্চা মেয়েটি জন্মের সময় খুব জরুরী ও নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল... এবং আমি একজন রক্তদাতা ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম... বাচ্চা মেয়েটির আজ প্রথম দাঁত উঠেছে... আমাকে নিয়মিত সব আপডেট জানানো হয়... আমি নাকি উনার আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি কিছু :) আশুলিয়ায় আগামী সপ্তাহে যেতে হবে উনার বাসায়, নাহলে নাকি আমার 'খবর' আছে :)
------------------------
অনেক মাস আগে সিলেটের কোন এক বোনের জন্য রক্তদাতা ম্যানেজ করে দিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে রোগীর ভাই কল করে আমাকে জানালেন যে উনার বোন (ঐ রোগী) JSC তে "এ গ্রেড" পেয়েছে। :) আমাকে এতদিনেও মনে রেখেছে ভেবে অন্যরকম ভাল লাগলো। এইসব ছোট ছোট জিনিসই জীবনটা অর্থবহ করে দেয় :)

গ্যাস্ট্রিকের ভয়াবহ সমস্যা নিয়েও কেন আমি বিশ্রাম নেই না সেটা আমার বন্ধুরা, বড় ভাইয়েরা, আত্মীয়স্বজনরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন... উপরের কিছু ছোট ছোট ঘটনাগুলোই এর উত্তর :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3

"শীতকে করুন জয়"

By sHuvo WhtЄvR

শীতের রাত এবং শীতের সকালে রক্তদাতা পাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। অপরদিকে, মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু কমে যায়নি।  প্রতিদিন রক্তের দরকার পরছে। গতরাতে সবচেয়ে সহজলভ্য "ও পজেটিভ" রক্তদাতা  পেতে অসম্ভব কষ্ট করতে হয়েছিল। প্রতিদিনই এমন হচ্ছে।

একজন রক্তদাতা ৩ মাসে একবার রক্তদান করতে পারেন। তিন মাসের মধ্যে একদিন না হয় কষ্ট করে ঠান্ডা উপেক্ষা করে রক্তদান করতে গেলেন। একদিনই তো :)
বাসা থেকে হাসপাতাল দুরে? একদিনই তো :)

কয়েক ঘন্টার কষ্টে যদি একজন মুমূর্ষু রোগী বেচে যায়, তাহলে এই আত্মতৃপ্তি কিন্তু আপনার কাছেই থাকবে :)

রক্তদাতারা একেকজন বীর, তুচ্ছ ঠান্ডাকে  জয় করার সামর্থ্য সকল রক্তদাতার রয়েছে আমার বিশ্বাস। এগিয়ে আসুন :)
সবশেষে হ্যাপী ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link

"নতুন বছরের শুভেচ্ছা"

By sHuvo WhtЄvR

নতুন বছরের আগমনে সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও প্রানঢালা অভিনন্দন। নতুন বছর সবার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ, মানসিক এবং দৈহিক শান্তি - এই কামনা করছি।

এই নতুন বছরে আমরা কি একটি প্রতিজ্ঞা করতে পারি না? আমরা যারা রক্তদানে সক্ষম, আমরা এই বছর ৪ বার রক্তদান করবো, ৪ জন মুমূর্ষু রোগীর পাশে থাকবো। ৩৬৫ দিন থেকে এই ৪ দিন বের করে নেয়া কোন কষ্টই না। শুধু দরকার ইচ্ছা। মুমূর্ষু রোগীর পাশে থাকুন সবসময়। :)

সবাইকে HAPPY NEW YEAR :)

Facebook Link

"Happiness is Donating Blood"

By sHuvo WhtЄvR

ফেইসবুকে বিশ্বব্যাপী খুব পপুলার একটি পেইজ হচ্ছে "The Happy Page" এবং আমিও অনেক বড় ফ্যান। বেশ কিছুদিন আগে ওদের রিকুয়েস্ট করেছিলাম যে ওদের পেইজ থেকে যেন একটি ছবি দেয় "Happiness is Donating Blood"।

কিন্তু অতীব দুঃখের ব্যাপার হইল ওরা আমারে পাত্তাই দিলো না :(

তাই ঠিক করলাম আমি নিজেই ড্রয়িং করা শুরু করবো। দীর্ঘ ১ ঘন্টা পেন্সিল আর কাগজ অপচয় করে বুঝতে পারলাম এইটা আমারে দিয়ে সম্ভব না। কিন্তু তাই বলে কি আমার এই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যাবে? হতেই পারে না।

শেষ পর্যন্ত নিলাম ফটোশপের সাহায্য। ইন্টারনেট থেকে হাজারো ছবি কাটঝাট করে বানিয়েই ফেললাম। অন্তত আমি হ্যাপি এই আউটপুট দেখে। :)

আমার ফ্রেন্ডলিস্টের কোন কার্টুনিস্ট যদি নতুনভাবে ড্র করে সাহায্য করতে চান, তাহলে স্বাগতম :) 

Facebook Link

"রক্তদানের উত্তেজনা"

By sHuvo WhtЄvR

রাত ১১ টাঃ
আমিঃ ঘুমাইতে যা। সকালেই রক্তদান করবি। ভাল ঘুম দরকার।
ছোট ভাইঃ আচ্ছা ভাইয়া। গুড নাইট।

রাত ১২ টাঃ
ছোট ভাইঃ (আবার নক) ভাইয়া, এক্সাইটমেন্টে ঘুম আসে না। সকালেই রক্ত দিমু :D সকাল হয় না কেন!!!
আমিঃ ঘুমাইতে গেলি !!! >.< নাইলে কিন্তু তোরে বাদ দিয়া আরেকজন রক্তদাতা ম্যানেজ করে ফেলবো।
ছোট ভাইঃ যাইতাসি যাইতাসি। রাগেন কেন !!!

- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
ভাল লাগলো। রক্তদানের জন্য মানুষের মধ্যে এই উত্তেজনা সত্যি দারুন লাগে :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

"Happiness is:"

By sHuvo WhtЄvR

Happiness is:
রোগী যখন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় গিয়ে কল করে বলে "শুভ ভাই, বাসায় আসলাম। এখন ভাল আছি" :)

Happiness is:
রক্তদান শেষে রক্তদাতা যখন বলে "শুভ ভাই, সবকিছু সুন্দরভাবে হয়েছে।" :)

Happiness is:
রক্তদাতা যখন বলে "ভাই, রক্তদানের জন্য আমি একদম প্রস্তুত। দরকার পরলেই আমাকে বলবেন। ওয়েটিং" :)

Happiness is:
আমি ম্যানেজ না করে দেয়া সত্ত্বেও যখন কোন রক্তদাতা কল করে বলে "ভাই, আমি আজকে রক্তদান করে আসলাম। আপনাকে জানাতে ইচ্ছা হল।" :)

Happiness is:
রক্তদাতা যখন বলে "শুভ ভাই, কালকে আমার বন্ধের দিন... একদম ফ্রী আছি... রক্তদান করতে চাই " :)

... Happiness is everywhere, জাস্ট খুঁজে নিতে হয় আর অনুভব করতে হয় :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5

"মাত্র দেড় লাখ রক্তদাতা"

By sHuvo WhtЄvR

- আমাদের দেশে সারা বছরে মাত্র ৬ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

- একজন রক্তদাতা ৩ মাস পর পর রক্তদান করলে বছরে ৪ বার রক্তদান করতে পারবেন।

...তার মানে দাঁড়ালো ...
.
.
... বাংলাদেশের রক্তের সমস্যার সমাধানের জন্য সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় সর্বমোট 'মাত্র দেড় লাখ' "নিয়মিত রক্তদাতা"র প্রয়োজন। :)  ...
.
.
জনবহুল এই দেশে দেড় লাখ; সংখ্যা টা কিন্তু খুব বড় নয় :)

... শুধু দরকার একটু সচেতনতা আর ইচ্ছা। আর কিচ্ছু না :) ...

Facebook Link 1 | Facebook Link 2

সুস্থ জীবন নিশ্চিত করুন

By sHuvo WhtЄvR

আপনি চাইলেই বছরে খুব সহজেই 'কমপক্ষে ৬০০০ টাকা' বাঁচাতে পারেন। সাথে ফ্রী পাবেন সুস্থ জীবনের নিরাপত্তা। কিভাবে জানতে চান? :)

উত্তর খুব সহজ। বছরে প্রতি ৩ মাস পর পর রক্তদান করুন। :)

কারন রক্তদানের পূর্বে আপনার রক্তের ৫ ধরনের পরীক্ষা করা হয়ঃ এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও সি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া।

রক্তদান করুন এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করুন। হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5

ভিজিটিং কার্ডে রক্তদানের আহবান

By sHuvo WhtЄvR

ইদানিং আমার আশেপাশের মানুষদের দেখলে এক ধরনের শান্তি অনুভব করি। কম বেশি সবাই যে যার অবস্থান থেকে রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। চারপাশে ঘুরছে হাজারো আইডিয়া এবং এইসব আইডিয়ার প্রয়োগও হচ্ছে। সফলতার মুখই দেখেছি আমরা বার বার। পরিবর্তন এসেছে, পরিবর্তন আসছে :)
--------------

আমার Nasim Anwar ভাই রক্তদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে একটি কাজ করেছেন এবং আজ আমাকে দেখালেন।

নাসিম ভাই নিজের কোম্পানির ভিজিটিং কার্ড বানিয়েছেন। কার্ডের এক পিঠে রয়েছে নিজের এবং কোম্পানির তথ্য, আর দ্বিতীয় পিঠেই লেখা রয়েছে "আসুন রক্ত দিই, জীবন বাঁচাই "। লেখাটির উপরেই রয়েছে একফোঁটা 'জীবন' :)

শুধু তাই নয়, নাসিম ভাইয়ের বন্ধু পিকলু ভাইও সাথেসাথে নিজের ভিজিটিং কার্ডের ডিজাইন পরিবর্তন করে দ্বিতীয় পিঠে যুক্ত করলেন "আসুন রক্ত দিই, জীবন বাঁচাই "  :)

এখানেই শেষ নয়। ভিজিটিং কার্ডটি প্রিন্ট করতে নিয়ে গেলেন দোকানে। দোকানের মালিক মান্নান ভাই অভিভুত হয়ে নিজের ভিজিটিং কার্ড পরিবর্তন করে নতুন ডিজাইন করলেন যার দ্বিতীয় পিঠে লিখে নিলেন "আসুন রক্ত দিই, জীবন বাঁচাই "।  :)

মনটা ভরে গেল অসম্ভব ভাল লাগা এক অনুভুতিতে। তৃপ্ততা হয়তো একেই বলে  :)

(কমেন্টে ভিজিটিং কার্ডের দ্বিতীয় পিঠের ছবি দিয়েছি।)



--------------------------
এই পোষ্টের কমেন্ট থেকে নেয়াঃ
'ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা' বলেছেঃ

"খুবই দারুণ একটা আইডিয়া। এর সাথে সাথেই একটা কাজ করা যায়। নিজের রক্তের গ্রুপটাও ছোট্ট করে এক কোনায় লিখে দেওয়া যায়। এভাবে সবার ভিজিটিং কার্ডে যার যার রক্তের গ্রুপ লেখা থাকলে, ব্যাপারটা দারুণ হবে। প্রয়োজনে হাতের কাছে থাকা, কাছে মানুষগুলোর কাছ থেকেই আগে সাহায্য পাওয়া যাবে।"

দারুন আইডিয়া।

Facebook Link

বাংলা দ্বিতীয় পত্রে "রক্তদান কর্মসূচি" রচনা দেয়া হোক।

By sHuvo WhtЄvR

আমার এক ছোট ভাই 'হাসান মোহাম্মদ আসিফ ভূঁইয়া' এর কালকে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। নেট থেকে সার্চ করে বিভিন্ন রচনার প্রিপারেশন নিচ্ছে। মজা করে বললাম "ফেইসবুক নিয়ে কোন রচনা আসে নাকি পরীক্ষায়?" :p

তার উত্তর শুনে চোখের কোনায় হালকা পানি জমে গেল । ওর উত্তরটা ছিল এমন

"
ফেইসবুক নিয়ে রচনা পরীক্ষায় আসে না। কিন্তু একদিন "রক্তদান কর্মসূচী" নিয়ে রচনা আসবে পরীক্ষায় - সে পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চাই!
"

ইনশাআল্লাহ এমন দিন আসবে একসময়। আমিও অপেক্ষায় আছি :)

আমার বন্ধু লিস্টে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করছেন এমন অনেকেই আছেন। আমাদের এই স্বপ্ন পুরন করে দিন না প্লিজ। বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় রচনা আসবে "রক্ত দিন, জীবন বাঁচান" কিংবা "রক্তদান কর্মসূচী"। তাহলে স্কুল কলেজ থেকেই ছাত্রছাত্রীরা রক্তদানে সচেতন হয়ে উঠবে। আশায় রইলাম। :)

হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং।

Facebook Link

মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা ম্যানেজ করতে আগ্রহী নতুন ভাইবোনদের উদ্দেশেঃ 

By sHuvo WhtЄvR

ইদানিং ফেইসবুকের হোম পেইজ দেখলেই অসম্ভব ভাল লাগে। প্রচুর নতুন নতুন মুখ মুমূর্ষু রোগীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে অক্লান্তভাবে। ওদের কাজ দেখলে অনেক নিশ্চিন্ত হই। অদুর ভবিষ্যতেই হয়তো আমরা নিজেরাই বাংলাদেশের রক্তের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করবো। এইভাবে এত ভাইবোন একসাথে কাজ করলে রক্তদাতার অভাব হবে না আর আমার বিশ্বাস। :)

মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদাতা ম্যানেজ করার জন্য কিছু কিছু বিষয় আমি ফলো করি। আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি এতে হয়তো নতুনদের কিছুটা সুবিধা হতে পারে। নিচের ফেসবুক লিঙ্কে পয়েন্টগুলো দিয়েছি।

Facebook Link

আপুরা রক্তদানে এগিয়ে আসুন...

By sHuvo WhtЄvR

...আপুদের জন্য বিশেষ পোস্ট...

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি...

আমার আশেপাশের মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত, যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি। অনেকেই উৎসাহিত হয়ে রক্তদান করেছেন এটাও জানি। তবে একটি ক্ষেত্রে এখনো ব্যর্থতা রয়ে গেছে আমার।

ছোট একটি পরিসংখ্যান দিচ্ছি। গত ১০ মাস ধরে বহু রক্তদাতা ম্যানেজ করেছি আমি, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৯ জন ছিলেন মহিলা রক্তদাতা। মাত্র ৯ জন। আপুদের রক্তদানে আরও এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।

হু জানি, কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন অনেক আপু। কিন্তু এইসব বাধা ভেঙ্গেই তো এগিয়ে আসতে হবে।

১)  বাসা থেকে হাসপাতাল দূরে কিংবা রাত হয়ে গেছেঃ
এক্ষেত্রে বাবা কিংবা ভাইকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। প্রয়োজনে আরও ৩/৪ জন বন্ধু নিয়ে যান। কোন সমস্যা নেই :)

২) বাসা থেকে অনুমতি দিচ্ছে নাঃ
আপনি যদি শারীরিকভাবে রক্তদানের যোগ্য হন, তবে বাসায় ভাল করে বুঝান যে রক্তদানে ভয়ের কিছু নেই। রক্তদান পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ। একজন বিশেষজ্ঞ সবসময় পাশে থাকেন। তাছাড়া রক্তদানে আছে অনেক উপকারিতা, রক্তদান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। আশা করি ভাল করে বুঝালে আপনার মা-বাবা রাজি হবেন। তারপরও যদি রাজি না হয়, তাহলে একটা ভাল কাজ না হয় লুকিয়েই করলেন। সমস্যা কি? ভাল কাজও হল, সাথে একজন মুমূর্ষু মানুষও বেঁচে গেল। একের ভিতর দুই। :)

৩) সূচের ভয়ঃ
হালকা পিঁপড়ার কামড়ের মতো মনে হবে। "হালকা সুইয়ের খোঁচার বিনিময়ে একজন মানুষের জীবন" - এই ব্যাথা একদমই নগণ্য :)

-----------
কয়েকটি বিষয় জেনে নিনঃ
১) মহিলাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান কিছুটা কম থাকে। আপনার হিমোগ্লোবিনের পরিমান যদি 11 gm/dl এর কম হয়, তবে রক্তদান করতে পারবেন না।
২) গর্ভাবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না।
৩) মাসিক চলাকালীন অবস্থায় রক্তদান করতে পারবেন না।

উপরের কোনটি না হলে আপুরা রক্তদানে এগিয়ে আসুন নিঃসংকোচে। মেয়েরা মায়ের জাত। রক্তদানের পর মেয়েরা আরও অনেক বেশি আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। তবে আপনি কেন এই আত্মতৃপ্তি থেকে বঞ্ছিত হবেন? :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5

সূচে নেই ভয়...

By sHuvo WhtЄvR

আগেই বলে নিচ্ছি, রক্তদানের সময় সূচ ফোটানোর হালকা ব্যাথা অনুভব করবেন, পিঁপড়ার কামড়ের মতো। ভয়ের কিছু নেই। একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পুরো কাজটি সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ নিরাপদ।

কিন্তু তারপরও কিছু কিছু মানুষ সূচ ফোটানোর ভয়ে কাবু থাকে। সূচের ভয় কিভাবে কমানো যায় এটা নিয়ে সারাদিন গুগলে সার্চ করলাম, একজন ডাক্তারের সাথেও কথা বললাম, এক ছোট ভাইয়ের সাথেও কথা হল এই ব্যাপারে। শেষ পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্তেই উপনিত হলাম যে, সূচ ফোটানোর সময় রক্তদাতার মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিতে হবে। তবে সবচেয়ে প্রচলিত টেকনিক যা ডাক্তাররা প্রায়সময় বলে থাকেন তা হল -
"
সূচ ফোটানোর সময় অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে আস্তে করে একটা কাশিঁ দিবেন.. ব্যথা লাগবে না আর সূচের :)
"

নেক্সট বার এই টেকনিকটা কাজে লাগিয়ে দেখবেন। আশা করি সূচের ভয় পুরোপুরি কেটে যাবে :)

গুগল সার্চে আরেকটি তথ্য পেয়েছি।
রক্তদানের পরেও যদি সূচের ব্যাথা থাকে (সাধারনত ব্যাথা থাকে না), তবে সূচের ব্যাথা কমাতে একটি টি-ব্যাগ ধরে রাখুন ব্যথার জায়গায়। চায়ে ট্যানিক এসিড আছে যা ব্যাথা কমিয়ে দেয়।
(এইটা প্রেক্টিক্যালি পরীক্ষা করে দেখা হয়নি আমার। কেউ চেষ্টা করলে আমাকে ফিডব্যাক দিবেন)

শেষ কথা, "হালকা সুইয়ের খোঁচার বিনিময়ে একজন মানুষের জীবন" - এই ব্যাথা একদমই নগণ্য :)

Facebook Link

রক্তদানের সমীকরণ...

By sHuvo WhtЄvR

" এক চিমটি ব্যাথা + এক মুঠো ত্যাগ + এক ব্যাগ রক্ত = রক্তদান "

- এই এক চিমটি 'ব্যাথা' ক্ষণস্থায়ী। রোগীর একটু হাসি ভুলিয়ে দিবে এই ব্যাথা।

- এক মুঠো ত্যাগ নিয়ে আসবে অপরিসীম আত্মতৃপ্তি।

- আর আপনার দানকৃত এক ব্যাগ রক্ত জয় করবে মানবতা...

Facebook Link | Facebook Link 2

"মাইরালা, আম্রে কেউ মাইরালা"

By sHuvo WhtЄvR

- "মাইরালা, আম্রে কেউ মাইরালা"
- "পুইত্তালা আমারে পুইত্তালা"
- "চাক্কু দিয়া ফাইরালা"
- "আমারে কেউ গাইরালা"

এই ডায়ালগসমুহ যে আদম সন্তান দিবে, তাহার শরীর হইতে কমপক্ষে ১ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হইবেক। মরিয়া যাইতে যিনি প্রস্তুত, তাহার শরীর হইতে ৪-৫ ব্যাগ রক্ত নিলেও কোন আপত্তি থাকিবার কথা নহে :\

ফেইসবুকে যে পরিমান এই ডায়ালগসমুহ ব্যবহৃত হয়, তাহাতে বোধ করি সারাদেশের রক্তের সমস্যার সমাধান হইবেক...

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

'কিছু কিছু' রোগীদের বলছি...

By sHuvo WhtЄvR

"কিছু কিছু" আবারো বলছি "কিছু কিছু" রোগী/রোগীর আত্মীয়স্বজনের আচরন দেখলে অবাক হই, বিরক্ত হই এবং মাঝে মাঝে ঝাড়ি দিতে ইচ্ছা করে।

আমার প্রতিঃ
--------------
১/ যতই বলি "রক্তদাতা আমি কনফার্ম করেছি, আপনি শুধু একবার রক্তদাতার সাথে কথা বলে আবারো কনফার্ম করে নিন এবং তারপর আমাকে জানান"। ৮০% রোগীই আর জানায় না। বাধ্য হয়ে আমিই আবার কল করি।
২/ যতই বলি রক্তদাতার রক্তদান শেষে আমাকে জানাবেন।  ৯০% রোগীই জানায় না। রক্তদাতা বা রোগীকে আবার কল করে জেনে নিতে হয় আমারই। (যেহেতু রক্তদাতা আমি ম্যানেজ করে দিয়েছি, তাই রক্তদান ঠিকমত সফল হয়েছে কিনা বা রক্তদানের পর রক্তদাতা সুস্থ আছেন কিনা এ নিয়ে টেনশনে থাকি)
৩/ যদি বলি রোগীর শারীরিক অবস্থা জানাবেন। ১০০% রোগীই জানায় না। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি যে কল দিয়ে রোগীর সুস্থতা জানতে চাচ্ছি, এতে উনারা খুবই বিরক্ত। :\

রক্তদাতাদের প্রতিঃ
--------------
১/ রক্তদাতা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর বলবে "আমরা তো আরেকজন রক্তদাতা পেয়ে গেছি। আপনার রক্তদান করতে হবে না" - কল করে আগেই রক্তদাতাকে জানায় না।
২/ রক্তদাতা সকালে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর বলবে "রক্ত এখন লাগবে না। সন্ধ্যায় আসেন।"  - কল করে আগেই রক্তদাতাকে জানায় না।
৩/ রক্তদাতাকে ঘন্টার পর ঘন্টা হাসপাতালে বসিয়ে রাখে। ফোনে বলবে "ভাই, এক্ষনি রক্ত দরকার" - রক্ত কিন্তু দরকার আরও ৪/৫ ঘন্টা পর।
৪/ রক্তদাতার সাথে সৌজন্যমুলক কথাবার্তাও বলে না অনেক রোগী। একা বসিয়ে রাখে।
৫/ রক্তদানের পর রক্তদাতার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার ব্যাবস্থা রাখে না। পানি, কিংবা জুসের ব্যাবস্থাও থাকে না অনেক সময়। ফলমূলের কথা না হয় বাদই দিলাম।
৬/ একজন রক্তদাতা নিজের মূল্যবান সময়, মোবাইল খরচ, যাতায়াত কষ্ট ইত্যাদি ত্যাগ স্বীকার করে নিজের শরীরের মহামূল্যবান রক্ত নিঃস্বার্থভাবে দান করে আসে একজন রোগীকে। রক্তদাতা কিছু পাবার আশায় রক্তদান করে না। কিন্তু তারপরও সুস্থ হয়ে উঠার পর রক্তদাতার সাথে কোন যোগাযোগ রাখে না বেশির ভাগ রোগী। যার রক্ত আপনার শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে, যে নিঃস্বার্থভাবে আপনার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে – তার সাথে সুসম্পর্ক রাখা কিংবা বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা – আমার কাছে ভুল কিছু মনে হয় না  :)

এই "কিছু কিছু" রোগী/রোগীর আত্মীয়স্বজনের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা আপনার জন্যই কাজ করছি। জানি রোগীর চিন্তায় আপনারা ব্যাতিব্যাস্ত থাকেন, তারপরও চাইলে আপনারা হয়তো আমাদের কষ্ট কিছুটা কমিয়ে দিতে পারেন। আমার কথা বাদ দিলাম, রক্তদাতাদের যেন পরিশ্রম এবং কষ্ট কম হয় এইদিকে খেয়াল রাখুন। সুস্থ হবার পর একবার হলেও রক্তদাতাকে কল করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এতে আপনি কিছু হারাবেন না।

আরেকটি বিশেষ অনুরোধ, জীবনের প্রথম রক্তদান করছেন এমন রক্তদাতাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন। আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করছে এই মানুষটি পরবর্তীতে রক্তদানে কতটুকু আগ্রহী থাকবে। এটি কিন্তু আপনার গুরু দায়িত্ব।

সবশেষে, হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং ...

Facebook Link1 | Facebook Link2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

রক্তদানে সেঞ্চুরী? :)

By sHuvo WhtЄvR

একটু গণিত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি আসুন...

- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী এখন দেশে মানুষের গড় আয়ু ৬৯ বছরের বেশি।
- ১৮ থেকে ৬০ বছরের সুস্থ দেহের মানুষ রক্তদান করতে পারেন।
- একজন মানুষ যদি ১৮ বছর বয়স থেকে রক্তদান করে তাহলে সে (১৮ বছরের শুরু থেকে ৬০ বছরের শেষ পর্যন্ত = ) ৪৩ বছর রক্তদান করতে পারে।
- যদি প্রতি ৩ মাস পর পর রক্তদান করে, বছরে ৪ বার। তাহলে সারাজীবনে (৪৩X৪= ) ১৭২ বার রক্তদান করতে পারবে :O
- আর ১৭২ বার রক্তদান করার অর্থ হল ১৭২টি মুমূর্ষু প্রান বাঁচানো। :)

এটা তো বিশাল ব্যাপার :)
রক্তদানে সেঞ্চুরী করা অসম্ভব না। ইচ্ছা এবং চেষ্টা থাকলে সেঞ্চুরী করা সম্ভব :)

এগিয়ে আসুন। নিজে রক্তদান করুন এবং জীবনে অন্তত একজন মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করুন :)

হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

Make the Difference...

By sHuvo WhtЄvR

ভাই, আপনি যে সিগারেট খান, বাসায় জানে?

আপনি যে গলির মোড়ে দাঁড়ায়ে ফ্লার্ট করেন, বাসায় জানে?

আপনি যে পার্টিতে গিয়ে হালকা পাতলা মদ্যপান করেন, বাসায় জানে?

নাহ জানে না। কারন আপনি নিজেই জানেন এইগুলা ভাল কাজ না। মা-বাবাকে বলা যাবে না।

এখন অন্য কথায় আসি। পৃথিবীর মধ্যে সর্বোজন স্বীকৃত একটি মহৎ কাজ হল 'রক্তদান'। আপনি উপরের খারাপ কাজগুলা লুকায়ে করতে পারেন, কিন্তু রক্তদানের মতো একটা ভাল কাজ করতে গেলেই বলেন "মা/বাবা না করতেসে। তাই রক্তদান করতে পারবো না।"
এইডা কিসু হইল?

আপনি যদি শারীরিকভাবে রক্তদানের যোগ্য হন, তাহলে প্রথমে বাসার মানুষকে বিশেষ করে মা'কে ভাল করে বুঝান যে, রক্তদানে ভয়ের কিছু নাই, রক্তদান পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ। একজন বিশেষজ্ঞ সবসময় পাশে থাকেন। তাছাড়া রক্তদানে আছে অনেক উপকারিতা, রক্তদান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়।

মানুষই রক্তদান করে। আশা করি ভাল করে বুঝালে আপনার মা-বাবা রাজি হবে। তারপরও যদি রাজি না হয়, তাহলে একটা ভাল কাজ না হয় লুকায়েই করলেন। সমস্যা কি? ভাল কাজও হল, সাথে একজন মুমূর্ষু মানুষও বেঁচে গেল। একের ভিতর দুই।
আপনার মা-বাবা হয়তো পরিবর্তন হবেন না, কিন্তু আপনি তো আপনার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই পরিবর্তন সৃষ্টি করে যেতে পারবেন, তাই না?

...So keep Calm and Donate Blood... and Make the Difference...

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5 | Facebook Link 6 | Facebook Link 7

পৃথিবীর সকল রক্তদাতাদের জানাচ্ছি "স্যালুট"...

By sHuvo WhtЄvR


- নিজের মূল্যবান সময়
- যাতায়াতের কষ্ট
- যাতায়াত খরচ
- মোবাইলের খরচ
- সূচ ফোটানোর ব্যাথা
- নিজের শরীরের মহামূল্যবান ১ ব্যাগ রক্ত

উপরের সবকিছু ত্যাগ স্বীকার করে একজন রক্তদাতা রক্তদান করেন একজন মুমূর্ষু রোগীকে। বিনিময়ে কিছু পাবার আশায় নয়, সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে। :)

হয়তো সকালে অফিসে যাবার পূর্বে, কিংবা দুপুরে লাঞ্চ আওয়ারে খাওয়া বাদ দিয়ে, অথবা সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত দেহে, অথবা অফিসে 'বস'কে হাজারো অজুহাত দেখিয়ে রক্তদাতা ঠিকই কিন্তু পৌঁছে যাচ্ছেন হাসপাতালে রক্তদান করতে।  :)

হয়তো বাসার জরুরী কাজ বাদ দিয়ে, বিকাল বেলার ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে, কিংবা বাসার কোন পার্টি বাদ দিয়ে, বন্ধুদের আড্ডা ফেলে রক্তদাতা ঠিকই কিন্তু পৌঁছে যাচ্ছেন হাসপাতালে রক্তদান করতে।  :)

হয়তো ইউনিভার্সিটির জরুরী কোন ক্লাস বাদ দিয়ে কিংবা, পরীক্ষার আগের রাতের পড়া ফেলে রেখে অথবা পরীক্ষার পরে ক্লান্ত দেহে রক্তদাতা ঠিকই কিন্তু পৌঁছে যাচ্ছেন হাসপাতালে রক্তদান করতে। :)

"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" - হ্যাঁ, মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরন হলেন এই রক্তদাতারা।

পৃথিবীর সকল রক্তদাতাদের আমি আমার মনে গভীর থেকে জানাচ্ছি "স্যালুট"।

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5

...রক্তদানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত...

By sHuvo WhtЄvR


১. রক্তের রিকুয়েস্ট আসলো।

২. ফোন কলের মাধ্যমে বা ফেইসবুকে পোষ্টের মাধ্যমে রক্তদাতা পাওয়া গেল।

৩. রক্তদাতা এবং রোগীর আত্মীয়ের মধ্যে যোগাযোগ হল।

৪. যথাসময়ে রক্তদাতা হাসপাতালে গেলেন।

৫. উপস্থিত বিশেষজ্ঞ রক্তদাতা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন ওজন, বয়স, শেষ রক্তদানের তারিখ, পূর্বে কোন অসুখ হয়েছিল কিনা, কোন ঔষধ সেবন করছেন কিনা ইত্যাদি জেনে নেন। প্রাথমিক ভাবে রক্তদানের যোগ্য হলে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য পাঠানো হয় রক্তদাতাকে।

৬. রক্তদাতা থেকে এক সিরিঞ্জ রক্ত নেয়া হয় ক্রস ম্যাচিং এর জন্য। ক্রস ম্যাচিং এর পাশাপাশি ৫ ধরনের রোগের পরীক্ষা করা হয়ঃ এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, সিফিলিস এবং ম্যালেরিয়া।

৭. উপরের পরীক্ষাগুলো করার জন্য কমপক্ষে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রক্তদাতাকে।

৮. পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর রক্তদাতা যদি রক্তদানের যোগ্য হন, তবে রক্তদানের কক্ষে নেয়া হয়।

৯. রক্তদানের কক্ষে রক্তদাতা বিছানায় শুয়ে থাকেন। তারপর ই-য়া-য়া-য়া মোটা সুই দিয়ে দেয়া হয় গুঁতা :p
হাহা। নাহ, মজা করলাম। সুই ফোটানোর হালকা ব্যাথা অনুভব করবেন, পিঁপড়ার কামড়ের মতো। ভয়ের কিছু নেই। :) "হালকা সুইয়ের খোঁচার বিনিময়ে একজন মানুষের জীবন" - এই ব্যাথা একদমই নগণ্য :)
একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পুরো কাজটি সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ নিরাপদ।

১০. পাঁচ থেকে দশ মিনিট লাগবে ব্যাগটি পূর্ণ হতে। তারপর রক্তদান প্রক্রিয়া শেষষষ :)

১১. রক্তদাতা ১৫-২০ মিনিট বিছানায় বিশ্রাম নেন। পানি বা জুস খেয়ে বীরের বেশে বাসার পথে রওনা দেন রক্তদাতা :)

(বিঃ দ্রঃ হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্তদান করতে যাবেন না, রোগীর বাসায় হলেও না। রক্তদানের পূর্বে রোগী, রোগীর রিপোর্ট, ডাক্তারের রিকুইজিশন লেটার সব দেখে নিবেন। রক্তদান শেষে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা প্রচুর পানি খান, এবং কোন প্রকার শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন।)

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান। হ্যাপি ব্লাড ডোনেটিং :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

সবার উপর মানুষ সত্য

By sHuvo WhtЄvR

জনৈকঃ ভাই, আমি তো দেশে থাকি না, তাই রক্তদান করতে পারি না

আমিঃ আপনি যে দেশে থাকেন ওই দেশের মানুষের রক্তের দরকার পরে না?

জনৈকঃ পড়ে। খোঁজ নেই না। দেই না। দেশের মানুষকে রক্ত দিতে চাই।

আমিঃ আপনার মনুষ্যত্বে একটু 'ডিশটাব' আছে। যেকোনো মানুষের রক্তের প্রয়োজনে এগিয়ে আসুন। জাত, ধর্ম, বর্ণ ভুলে। মনুষ্যত্ব এতে নিহিত।

Facebook Link 1  |  Facebook Link 2 | Facebook Link 3

কিছু এপিঠ, আবার কিছু ওপিঠঃ

By sHuvo WhtЄvR


১।
জরুরী রক্তের প্রয়োজনে অনেক সময় রাত ২টা - ৩টার সময়ও আমি রক্তদাতাদের কল দিয়েছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুমে থাকার কারনে রক্তদাতা কল ধরেন না। তবে অনেকে আবার ধরেও।
এ পিঠঃ ওই মিয়া, এত রাইতে কেউ ফোন দেয় !!! রাখেন ফোন।
ও পিঠঃ আচ্ছা ভাই, আমি সকালে উঠেই রক্তদান করবো। কনফার্ম। :)

২।
এ পিঠঃ নিজের গাড়ি আছে, এসি এর ঠাণ্ডা বাতাস খেতে খেতে হাসপাতালে রক্তদানে যেতেও অনেকের খুব কষ্ট হয়।
ও পিঠঃ ঢাকায় রক্তের দরকার। চট্টগ্রাম থেকে, টাঙ্গাইল থেকে কিংবা নরসিংদী থেকে ঢাকায় এসে রক্ত দিতে প্রস্তুত, এমন রক্তদাতাও দেখেছি আমি :)

৩।
এ পিঠঃ আমার আগামী সপ্তাহে পরীক্ষা। এখন রক্তদান করবো না।
ও পিঠঃ কালকে পরীক্ষা আছে, কিন্তু সমস্যা নাই। সকালে রক্তদান করে পরীক্ষা দিতে চলে যাবো।  :)

৪।
এ পিঠঃ ভাই, আমি অফিসে। অনেক কাজ। এখন বের হতে পারবো না।
ও পিঠঃ "আমার তো সন্ধ্যার আগে অফিসের কাজ শেষ করতে হবে। সন্ধ্যার পর রক্ত দিতে পারবো। তরপরও আপনি রোগীর সাথে কথা বলে জানান, যদি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করা না যায়, তবে আমি এখনি আসবো । চাকরি থেকে মানুষের জীবনের মূল্য তো বেশি। আপনি জানান" (হুবহু লিখলাম)

এই "ও পিঠ" এর মানুষগুলোর জন্যই আসলে পৃথিবীটা এত সুন্দর :)

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4

"মা", তোমাকে বলছিঃ

By sHuvo WhtЄvR


১। রক্তদানের জন্য যা যা যোগ্যতা দরকার, আমার সবই রয়েছে। তবে কেন আমি রক্তদান করবো না?

২। রক্তদানের পূর্বে বিশেষজ্ঞ আমাকে পরীক্ষা করবেন, আমি যদি রক্তদানের অযোগ্য হই তবে আমার থেকে রক্ত নেয়া হবে না। সুতরাং আমি নিরাপদ।

৩। বিশেষজ্ঞ সবসময় সাথে থাকবেন, তাই রক্তদানে কোন সমস্যা হবে না। আমার কিছু হবে না। আমি ভাল থাকবো।

৪। রক্ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না। আমি যদি রক্ত না দেই তবে কিভাবে বাঁচবে এই রোগীটি?

৫। রক্তদানে কোন ক্ষতি নেই, আছে অনেক উপকারিতা। তবে তুমি কেন এত ভয় পাও, মা?

(রুট লেভেল থেকে রক্তদানে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে যে রক্তদানে ভয়ের কিছু নেই। আমার রক্তের প্রয়োজনে তো ঠিকই অন্য অপরিচিত রক্তদাতা রক্তদান করবে, তবে কেন আমি অন্যের জন্য রক্তদান করবো না !!! )

Facebook Link

রক্তদাতাদের কিছু সাবধানতা বা সচেতনতা 

By sHuvo WhtЄvR

ফোন কলের মাধ্যমে রক্তের রিকুয়েস্ট এলে রক্তদানের পূর্বে রক্তদাতাদের কিছু কিছু সাবধানতা বা সচেতনতা জরুরীঃ

১) রোগী কোন হাসপাতাল/ক্লিনিকে আছেন জেনে নিন। হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্তদান করতে যাবেন না। রোগীর বাসায় হলেও না।

২) হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্ত আবেদনকারী (মোবাইল নম্বরে যে ব্যাক্তির সাথে আপনি যোগাযোগ করছেন) এর সাথে দেখা করবেন না। হাসপাতালের পাশের গলি, কিংবা কোনও দোকানে দেখা করতে বললে যাবেন না।

৩) রক্তদানের পূর্বে রোগী দেখে নিবেন। রোগীর রিপোর্ট, ডাক্তারের রিকুইজিশন লেটার দেখে নিবেন।

৪) রক্তদানের সময় দুই-একজন বন্ধু সাথে নিয়ে গেলে ভালো হয়।

৫) রক্তদানে নতুন সূচ ব্যবহার করছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন...

৬) উপস্থিত বিশেষজ্ঞের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানান...

৭) রক্তের ক্রস ম্যাচিং করার পর রক্তদান করবেন, এর আগে নয়... বেশির ভাগ সরকারী হাসপাতালে ক্রস ম্যাচিং না করেই রক্ত রেখে দেয়... এটা কখনই উচিত নয়... নিজে সচেতন হোন... ক্রস ম্যাচিং এর পর রক্তদান করবেন...

 

(নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিন। কোন রকম অসুবিধা হলে www.DonateBloodBD.com কর্তৃপক্ষ কোনভাবে দায়ী থাকবে না।)

 

Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3 | Facebook Link 4 | Facebook Link 5

রক্তদানে সচেতনতা তৈরি করা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

By sHuvo WhtЄvR

 
১#
মানুষের মধ্যে রক্তদানে সচেতনতা তৈরি করা এবং রক্তদানের ভুল ধারনা/ভয় গুলো দূর করার মধ্যমে রক্তদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে এখন আমাদের প্রথম এবং প্রধান চ্যালেঞ্জ। মানুষ যখন নিজের দায়িত্ববোধ থেকে রক্তদানে এগিয়ে আসবে তখন রক্তের জন্য আর একটি প্রাণও ঝরে যাবে না। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি।
যারা এখনো সূচের ভয় কিংবা "অজ্ঞান হয়ে যাবো" এই ভয়ে রক্তদান করেননি, তাদের নিশ্চিতভাবে বলছি রক্তদান পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক নিরাপদ। ভয় পাবার কিছু নেই। সূচ ফোটানোর সময় তেমন ব্যাথা পাবেন না - পিঁপড়ার কামড়ের মতো মনে হবে। আর একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য তো পিঁপড়ার কামড় খাওয়া তো কোনও ব্যাপারই না। তাই নয় কি?

২#
"ও পজেটিভ", "বি পজেটিভ" কিংবা "এ পজেটিভ" রক্তের দরকার পরলে সহজলভ্য রক্ত ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। জরুরী মুহূর্তে যেকোনো গ্রুপের রক্ত ম্যানেজ করাই অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তাই অন্যের জন্য অপেক্ষা না করে যদি নিজেই এগিয়ে আসেন তবে মুমূর্ষু রোগীকে বাচানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

৩#
ফেইসবুকে প্রয়োজনীয় রক্তের পোস্টগুলো যখনি চোখে পড়বে সাথে সাথে শেয়ার করুন, কিংবা অন্তত লাইক দিন - এতে আপনার হোম পেজে আপনার ফ্রেন্ডরা এই পোস্টটি দেখতে পারবেন এতে বেশি মানুষের কাছে রক্তের আবেদনটি পৌঁছাবে। রক্ত পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

৪#
ছোট একটি টিপসঃ আপনার মোবাইলের ফোনবুকে আপনার পরিচিত সবার নামের সাথে রক্তের গ্রুপও লিখে রাখুন (যেমনঃ Abbu B+ , Ammu O+) এতে নিজের প্রয়োজনে যেমন কাজে লাগবে, তেমনি জরুরী মুহূর্তে বন্ধু-বান্ধবের সাহায্যেও আপনি এগিয়ে আসতে পারবেন।

৫#
দেশের যেকোন জেলাতেই বা যেকোন এলাকা বা যেকোন প্রান্তেই থাকুন না কেন আপনি, দয়া করে রক্তদাতা হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করুন নিচের লিঙ্ক থেকে। আপনাদের শহরে রক্তের দরকার পরলে আমি আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো। প্রয়োজনে আপনারাও রক্তদাতা খুঁজে নিতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। অনেক ধন্যবাদ।
http://www.donatebloodbd.com/index.php/be-a-donor

(আমার বন্ধুদের বলছি, রক্তদাতার তথ্য সংগ্রহে আমাকে সাহায্য করুন। এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন কিংবা নিজেদের মতো করে এই ওয়েবসাইটটি ( www.DonateBloodBD.com ) প্রমোট করুন। তাহলে রক্তের প্রয়োজনে আমরা একসাথেই মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাড়াতে পারবো সবসময়। অনেক ধন্যবাদ।

৬#
"রক্ত দিন, জীবন বাচান।"

 

জরুরী পোস্ট। মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি।

By sHuvo WhtЄvR

# রক্তের দরকার পরলে প্রথমেই নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিত মানুষদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিন কেউ রক্ত দিতে পারবে কিনা। পরিচিত রক্তদাতা হলে আপনি সুনিশ্চিত হতে পারছেন রক্তটি বিশুদ্ধ কিনা। অপরিচিত রক্তদাতা মাদকাসক্ত কিনা হয়ত আপনি সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন না।
সেজন্য আপনার পরিচিত সবার রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করে রাখুন। একটা টেকনিক মেনে চলতে পারেন। আপনার মোবাইলে Contact Number এ নামের সাথে রক্তের গ্রুপটা লিখে রাখুন, যেমন: Abbu A+ , Ammu O+ ইত্যাদি। এতে প্রয়োজনে নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিত মানুষদের থেকেই রক্তের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

# গর্ভবতী মায়ের জন্য আগে থেকেই রক্তদাতা ম্যানেজ করে রাখুন। গর্ভবতীর যে রক্তগ্রুপ, একই রক্তগ্রুপের আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত মানুষদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে বলুন যেন গর্ভবতীর যেকোনো শারীরিক জটিলতায় উনারাই প্রথমে এগিয়ে আসতে পারেন।

কোন রক্তই সহজলভ্য নয় যদি কেউ এগিয়ে না আসে।

By sHuvo WhtЄvR

‘ও পজেটিভ’, ‘বি পজেটিভ’ কিংবা ‘এ পজেটিভ’ রক্তের দরকার পরলে অনেকে মনে করেন “এই রক্তের গ্রুপ তো সহজলভ্য। রক্তদাতা পাওয়া যাবে। তাই আমার রক্ত না দিলেও চলবে”।

আমি বলবো এটি ভুল ধারনা। আমার যুক্তিগুলো আমি বলছি।

১। আপনি বলছেন এই রক্ত সহজলভ্য কারন এইসব রক্ত গ্রুপের মানুষের সংখ্যা বেশি। এখন একটু অন্য ভাবে চিন্তা করুন। যেহেতু এই গ্রুপের মানুষের সংখ্যা বেশি, তাই স্বভাবতই রোগীর সংখ্যাও বেশি। যেহেতু রোগীর সংখ্যা বেশি, তাই এই রক্ত গ্রুপের রক্ত বেশি দরকার পড়ছে। সহজলভ্য রক্ত ভেবে এখন আপনি যদি এড়িয়ে যান, তাহলে এই বিপুল সংখ্যক রোগীকে কে রক্তদান করবে?

২। রোগীর জেলা বা শহরে কাছাকাছি যেসব রক্তদাতা আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রক্তদাতার হয়ত শেষ রক্তদানেরর ৪ মাস পূর্ণ হয়নি । সুতরাং এই রক্তদাতারা রক্তদান করতে পারছেন না।

৩। রোগী যদি আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে থাকেন, তাহলে রক্তদানে আপনার দায়িত্ব অনেক বেশি কারন দূরবর্তী স্থান থেকে রক্তদাতা হাসপাতালে পৌঁছতে যেটুকু দেরি হবে হয়তবা এই সময়ে রোগীর অবস্থা আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। সুতরাং আপনার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত একজন মানুষের জীবন মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।

জরুরী মুহূর্তে যেকোনো রক্তের গ্রুপের রক্তই ম্যানেজ করা কষ্টকর হয়ে যায়। আপনি যদি অন্য কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাহলে রোগীকে বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

…”রক্তদান ঐচ্ছিক বিষয় নয়, এটি দায়িত্বের চেয়েও বেশি কিছু”…

 Facebook Link 1 | Facebook Link 2 | Facebook Link 3

একজন রক্তদাতার নিরাপত্তা

By sHuvo WhtЄvR

মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহে আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। জরুরী মুহূর্তে রোগীদের রক্ত ম্যানেজ করে দেয়া আমাদের দায়িত্ব, তেমনি একজন রক্তদাতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।

রক্তদাতাদের বলছিঃ
———————-
১। রোগী কোন হাসপাতাল/ক্লিনিকে আছেন জেনে নিন। হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্তদান করতে যাবেন না।
২। হাসপাতাল/ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও রক্ত আবেদনকারী (মোবাইল নম্বরে যে ব্যাক্তির সাথে আপনি যোগাযোগ করছেন) এর সাথে দেখা করবেন না। (হাসপাতালের পাশের গলি, কিংবা কোনও দোকানে দেখা করতে বললে যাবেন না।)
৩। রক্তদানের সময় দুই-একজন বন্ধু সাথে নিয়ে গেলে ভালো হয়।
৪। রক্তদানের পূর্বে রোগী দেখে নিবেন।

রোগীকে (বা রোগীর আত্মীয়কে) বলছিঃ
——————————————-
১। রক্তদানের পর রক্তদাতা যেন অন্ততপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে পারেন তার ব্যবস্থা রাখবেন।
২। রক্তদানের পর যদি সম্ভব হয় ফলমূল, জুস, পানি এর ব্যবস্থা রাখবেন রক্তদাতার জন্য। রক্তদাতার তাড়াতাড়ি Recovery জন্য এটা দরকারি।
৩। সুস্থ হয়ে উঠার পরও রক্তদাতার সাথে যোগাযোগ রাখুন। যার রক্ত আপনার শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে, যে নিঃস্বার্থভাবে আপনার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে – তার সাথে সুসম্পর্ক রাখুন। রক্তদাতার কাছে বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা – আমার কাছে ভুল কিছু মনে হয় না  :)

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান :)

Facebook Link

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান (থিম সং)

Join Us on Facebook

We have 35 guests and no members online

Best Bangladeshi domain hosting provider since 2007

রক্তদাতা হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করুন